শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

উগ্রবাদী ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল সারা দেশ

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের (৩৫) হত্যার ঘটনায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল সারা দেশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আদালত চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নামঞ্জুর করার সাথে সাথে অরাজক […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের (৩৫) হত্যার ঘটনায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল সারা দেশ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আদালত চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন নামঞ্জুর করার সাথে সাথে অরাজক

পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। ভাংচুর চালানো হয় নির্বিচারে। মসজিদে হামলা করা হয় এবং নিরীহ মুসল্লিদের আহত করা হয়। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে মুসলমানদের উদ্দেশ করে গালিগালাজ এবং হামলার জন্য টার্গেট করা হয়। পাশাপাশি তারা প্রিজনভ্যান আটকে চিন্ময় কৃষ্ণকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে।

এ সময় তারা ‘জয় শ্রীরাম’, ‘দালালের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘জেলের তালা ভাংব, চিন্ময় প্রভূকে আনবো’, ‘কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের পরিকল্পিত উস্কানিমূলক তৎপরতার মাঝেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল একেবারেই শান্ত। তাদের বুঝিয়ে সরে যেতে বলে।

কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছিল না। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মৃদু লাঠিপেটা করে এবং গ্যাস গান ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আইনজীবী আলিফকে পাশের জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পরই সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে।

এ ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন নিন্দা জানিয়ে হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান বলেন, দেশবিরোধী বিশ্বাসঘাতক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ইসকনের কর্মী-সমর্থকরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দিনের আলোতে জনসম্মুখে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভারতের উসকানি ও মদদে এই ষড়যন্ত্রমূলক অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের দ্রুত গ্রেফতার করে শহীদ আলিফ হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে হিন্দুত্ববাদী ইসকনকে অতিসত্বর নিষিদ্ধ করতে হবে।’

তারা আরো বলেন, ‘মুসলমানের রক্তখোর ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী এদেশে হিন্দু কার্ড খেলে তাদের আধিপত্যবাদ কায়েম রাখতে চায়। তাদের সেবাদাস ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর থেকে ভারত উন্মাদ হয়ে আছে। সে কারণে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। ভারতের কোনো ফাঁদে পা না দিতে সাধারণ

সনাতনী হিন্দু ভাই-বোনদের প্রতি আমরা জোর আহ্বান করছি। আর যারা ভারতের চক্রান্তের সাথে একীভূত হয়ে দেশবিরোধী অরাজকতা তৈরি করতে সক্রিয়, তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নজির দেখাতে হবে সরকারকে। আমরা আজকের ঘটনায় শান্ত ও সংযত থেকেছি বটে। কিন্তু এদেশের মুসলমানদের ধৈর্যেরও সীমা রয়েছে তা মাথায় রাখতে হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডকে জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগতভাবে দুরভিসন্ধি ও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চায়। দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের দুরভিসন্ধির ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ। তাদের অপচেষ্টা অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, আগামীতেও ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ : ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেরর পাদদেশে রাত ৮টায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটা গ্রুপ দিল্লি বসে আমাদের বিভাজন করার প্রেসক্রিপশন দিচ্ছে ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ভারতে মুসলমানদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আর সেই নির্যাতন আমরা আজকে বাংলাদেশেও দেখতে পেয়েছি। তারা সংখ্যালঘুর ট্রাম্প কার্ড ব্যবহার করে উস্কানিতে দিচ্ছে। আমরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিব না। মুসলমানদের সব সময় ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করব। আমরা শিগগির এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

আরেক শিক্ষার্থী জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে একটা গ্রুপ দিল্লিতে বসে আমাদের বিভাজন করার প্রেসক্রিপশন দিচ্ছে। হারপিক মজুমদারসহ সকল খুনিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসে জাতিকে উস্কানি দিচ্ছেন। এ বাংলার মাটিতে আপনাদের বিচার হবে। ৯০ ভাগ মুসলমানদের দেশে সংখ্যালঘুদের আমরা সব সময় নিরাপত্তা দিয়ে আসছি। আজকে যারা সাইফুল ভাইকে হত্যা করেছে, তাদের সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান করছি।’

এ সময় তারা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, ফ্যাসিবাদের সঙ্গী’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও রুখে দাও’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা এ বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

পটুয়াখালীতে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে পটুয়াখালীতে মশাল মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে একটি মশাল মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি চৌরাস্তায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে একই দাবিতে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাজারো শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে স্লোগান দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান।

ফেনীতে বিক্ষোভ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টার দি‌কে শহরের শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ট্রাংক রোড, বড় মসজিদ, মডেল থানা প্রদক্ষিণ করে খেজুর চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে উপস্থিত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোহাইমিন তাজিম, ওমর ফারুক শুভ ও স্বেচ্ছাসেবক ওসমান গণি রাসেল।

এর আগে মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুব সংগঠন।

বক্তারা বলেন, উগ্র-হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা প্রকাশ্য-দিবালোকে আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, মসজিদে হামলা করেছে। সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করে নিজেদের সন্ত্রাসী স্বরুপ প্রকাশ করেছে।

তারা আরো বলেন, এখন সময় এসেছে দেশের সকল মানুষ এক হয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার। দেশের পতিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী হিন্দুদের সাথে মিশে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতেছে। যেকোনো মূল্যে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

ইসকন নিষিদ্ধের দাবি বিক্ষোভে উত্তাল বেরোবি

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার ( ২৬ নভেম্বর) রাত ৯টায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ গেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মডার্ন মোড় ঘুরে আবারও আবু শহীদ চত্বরে এসে শেষ হয় মিছিলটি। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নেন। তারা হত্যাকারী চিন্ময় অনুসারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে নানা স্লোগান দেয়।

পরে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব রহমত আলী, জাকির হোসেন, সৌরভ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদিদের উস্কানিতে এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন সনাতন জাগরণ মঞ্চের ব্যানারে দেশে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরীর চেষ্টা করছে। দেশে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকা সত্ত্বেও সন্ত্রাসী চিন্ময়ের তথাকথিত অনুসারীরা আদালতে প্রকাশ্য দিবালোকে গলাকেটে রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মসজিদে হামলা, ভাঙচুর করেছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।’

তারা আরো বলেন, ‘খুনিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে আবারো ছাত্র জনতার বিপ্লব শুরু হবে। একই সাথে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিও জানান তারা। এ সময় দেশবাসীকে উস্কানিতে পা না দিয়ে শান্ত থাকারও আহ্বান জানান বক্তারা।’

ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত ও দেশে উগ্রবাদী কার্যক্রম করার দায়ে হিন্দুত্ববাদী উগ্রসংগঠন ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জবি ক্যম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানায় তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ ইসকন নিষিদ্ধ’, ‘আমার সোনার বাংলায় ইসকনের ঠাঁই নাই’, ‘ইসকনের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই খুন কেন, প্রশাসন জবাব চাই’- স্লোগান দেয়।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কিছুদিন ধরে চক্রান্ত করে যাচ্ছে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

নাইমুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভারত আমাদের সার্বভৌমত্বকে ভেঙে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাচ্ছে। ইসকান তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হোক।’

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস্ সোসাইটির সভাপতি জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের মদদে এদেশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন অখণ্ড ভারত করার দিবাস্বপ্ন দেখে যাচ্ছে। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এই ইসকন বিভিন্ন সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছে আজও করছে। গত ৫ আগস্টে পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে বসে দেশের

বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে। তার সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উগ্র-হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন আদালত চত্বরেই এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হোক তা আমরা চাই না। অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করার জোর দাবি জানাই।’

ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গনে ইসকন-সমর্থক কর্তৃক আইনজীবীকে হত্যার প্রতিবাদ ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

এতে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘সনাতন-মুসলিম ভাই-ভাই, বাংলাদেশে ইসকনের কোনো ঠাঁই নাই’, ‘সনাতন-মুসলিম ভাই-ভাই, হাবিপ্রবিতে ইসকনের ঠাঁই না’, ‘অ্যাকশান অ্যাকশান ডাইরেক্ট অ্যাকশান, ইসকনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গনে ইসকন কর্তৃক আইনজীবী হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সনাতন-মুসলিম ভাই-ভাই। সনাতন আর ইসকনকে আমরা আলাদা মনে করি। ইসকন মূলত একটি উগ্রবাদী সংগঠন। বাংলাদেশে ভারতীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে ইসকন। আর ইসকনকে সমর্থন দিয়ে যারাই মাঠে নামবে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য সবসময় প্রস্তুত। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেনো ইসকনকে উগ্রবাদী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।’

এ সময় তারা আরো বলেন, ‘ছাত্রশিবির বলেন, ছাত্রদল বলেন, তাবলীগ বলেন- এই বিষয়ে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যে বা যারা ষড়যন্ত্র করছে বা করবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেবো।’

আগামীকাল বুধবার জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের (৩৫) গায়েবানা জানাজা এবং জানাজা শেষে আবারো বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিরসরাইয়ে বিক্ষোভ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ ও পথসভার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ৮টার দিকে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর বাজারে এ বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তারা বলেন, ‘চিন্ময় দাস গ্রেফতারের পর তারা ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশী ইসকনরা বিচার চেয়েছে, এটি কি রাষ্ট্রদ্রোহীতা নয়? বাংলাদেশের আইন আদালত কোথায় গিয়েছে। তারা সরকারের কাছে বিচার চাইতে পারতেন। তা না করে তারা সাইফুল ইসলামকে হত্যা করেছেন।’

তারা আরো বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আমাদের জন্মভূমিকে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আবার রক্ষা করব।’

এ সময় বক্তব্য রাখেন আহমেদ হাসান জাবের, মঞ্জুর এলাহি সৈকত এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য তাহমিদ খান প্রমুখ।

হাটহাজারীতে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে ‘ইসকন অনুসারীদের গলা কেটে’ হত্যার প্রতিবাদে এবং ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে বিক্ষোভ করে হাটহাজারী পৌরসভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও তৌহিদী জনতা।

বিক্ষোভে ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আমার ভাই শহীদ কেন, জবাব দে, জবাব দে’, ‘মসজিদে হামলা কেন, জবাব দে, জবাব দে’, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় দাসের জামিন না হওয়ায় কারাগার অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছে জোটের নেতারা।

আজ বুধবার তার জামিন না হলে সারা দেশে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ,ছেঁড়া হয় পরনের জামা

জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি স্থানীয় জনতারা গণধোলাই থানায় সোপর্দ করছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা সিদ্দিক হঠাৎ নিজ এলাকায় দেখা দিলে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলে। পরে তাঁকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এ বিষয়ে রমনা থানার ডিউটি অফিসার বলেন, স্থানীয় […]

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ,ছেঁড়া হয় পরনের জামা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৮

জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি স্থানীয় জনতারা গণধোলাই থানায় সোপর্দ করছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা সিদ্দিক হঠাৎ নিজ এলাকায় দেখা দিলে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলে। পরে তাঁকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে রমনা থানার ডিউটি অফিসার বলেন, স্থানীয় জনগণ সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক দেশের টেলিভিশন অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ, যিনি নানা হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত একাধিক সহিংস ও নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল সে। বিশেষ করে ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে সবার নজর কেড়েছিল সিদ্দিক। কিন্তু একবারও প্রার্থী হতে পারেনি সিদ্দিক।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩