সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হঠাৎ রাজপথে নেমে আসছে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাবি আদায়ের প্রয়াস সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। বিশেষত ঢাকায় রাজপথ দখল করে একের পর এক কর্মসূচি পালনের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। পাশাপাশি গাজীপুর ও আশুলিয়ার শ্রমিকঘন অঞ্চলেও মহাসড়ক অবরোধের মতো অচলাবস্থা […]

নিউজ ডেস্ক

২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯

নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হঠাৎ রাজপথে নেমে আসছে, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দাবি আদায়ের প্রয়াস সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

বিশেষত ঢাকায় রাজপথ দখল করে একের পর এক কর্মসূচি পালনের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। পাশাপাশি গাজীপুর ও আশুলিয়ার শ্রমিকঘন অঞ্চলেও মহাসড়ক অবরোধের মতো অচলাবস্থা থেকে মুক্তি মিলছে না।

সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকার একাধিক খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘাতে লিপ্ত হয়েছেন। এর আগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরাও একাধিকবার রাজপথ অবরোধ করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

ভুক্তভোগী ছাড়াও অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনশৃঙ্খলা ফেরাতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে নৈরাজ্য মোকাবিলা করা কঠিন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকেও নাগরিকদের আরও দায়িত্বশীল আচরণে সহযোগিতা চাওয়া হয়।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক  বলেন, ঢাকায় নানা দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এটি মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোথাও সরব, আবার কোথাও নীরব। দিনক্ষণ ও স্থান ঘোষণা দিয়েও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে কেউ কেউ এসবের ভেতর ইন্ধনের কথা বলছেন। গোয়েন্দাদের খুঁজে বের করতে হবে ঘটনার পেছনেও কোনো ঘটনা রয়েছে কিনা।

 

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অধিকারকেন্দ্রিক আন্দোলন ও দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে। তবে আন্দোলন যৌক্তিক কাঠামোর মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে উন্মাদনা ভালো ফল আনে না। এসবের বিরুদ্ধে জোরালো ও কঠোর বার্তা দেওয়া জরুরি। সংঘাত-সহিংসতায় জড়ালে কারও পরিচয় মুখ্য নয়, যে হোক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আবার কেউ কেউ জনদুর্ভোগ ঘটিয়ে দাবি-দাওয়া আদায় করার চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া বাড্ডার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক ছাত্র চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম ঘটনা ঘটে। ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে প্রথমে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ এবং ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ও কলেজে হামলা-ভাঙচুর করে। পরে আগাম ঘোষণা দিয়ে সোমবার সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়ান। লন্ডভন্ড করা হয়েছে মোল্লা কলেজ।

এ ব্যাপারে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, অকল্পনীয় এই সংঘাতে ছাত্রদের কেউ ব্যবহার করেছে কিনা, নিশ্চয় গোয়েন্দারা তা বের করবে। আগের দিন ঘোষণা দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে। সব তছনছ করা হয়েছে। প্রশাসনকে বিষয়টি আগেভাগে জানানোর পরও সময়মতো কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। যখন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী হাজির হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ছাত্র এখন সামান্য বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। তারা শিক্ষক ও অভিবাবকদের কথা শুনতে চায় না। আমরা মেসেজ দিয়ে, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি সামাল দেওয়ার কথা বলে ব্যর্থ হয়েছি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ধীরে ধীরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কে অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে ছাত্র-শিক্ষক, গণমাধ্যমসহ সবার ভূমিকা আছে। নিজের স্বার্থে একজনকে ছোট করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা কিছু লিখে দেওয়ার যে মনোবৃত্তি, এখান থেকে বের হতে না পারলে ঘৃণা বাড়বে।

তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘাত ছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একই সঙ্গে কয়েক দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও মালিকরা বিভিন্ন দাবি আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন। সোমবার ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।

পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, প্রত্যাশা থাকবে, নাগরিক জীবন বিপন্ন হোক এমন কোনো পরিস্থিতি যাতে না ঘটে। নগরবাসীকে বিপাকে ফেলে কারও কর্মসূচি প্রত্যাশিত নয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রথমে কিছুদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকার রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের বিক্ষোভও ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। এমন পরিস্থিতিতে ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশপাশে যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়। এর পরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে দাবি-দাওয়া জানানো হচ্ছে। ঘর থেকে বের হলেই আকস্মিক বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ছেন তারা। রাস্তাঘাট বন্ধ করে অন্যদের জিম্মি করার মধ্য দিয়ে এসব অপ্রীতিকর ঘটনা দাবি আদায় বা চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে মনে করছেন অনেকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহনশীল আচরণ করতে হবে। কোনো দাবি থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক মাধ্যমে উপস্থাপন করা যেতে পারে। চলমান পরিস্থিতি পুলিশ আইনের প্রতি যত্নশীল হয়েই দায়িত্ব পালন করছে।

 

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯

জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ,ছেঁড়া হয় পরনের জামা

জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি স্থানীয় জনতারা গণধোলাই থানায় সোপর্দ করছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা সিদ্দিক হঠাৎ নিজ এলাকায় দেখা দিলে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলে। পরে তাঁকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এ বিষয়ে রমনা থানার ডিউটি অফিসার বলেন, স্থানীয় […]

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ,ছেঁড়া হয় পরনের জামা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৮

জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি স্থানীয় জনতারা গণধোলাই থানায় সোপর্দ করছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা সিদ্দিক হঠাৎ নিজ এলাকায় দেখা দিলে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলে। পরে তাঁকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে রমনা থানার ডিউটি অফিসার বলেন, স্থানীয় জনগণ সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক দেশের টেলিভিশন অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ, যিনি নানা হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত একাধিক সহিংস ও নৃশংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল সে। বিশেষ করে ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে সবার নজর কেড়েছিল সিদ্দিক। কিন্তু একবারও প্রার্থী হতে পারেনি সিদ্দিক।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৮৭৯