বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

হজ্জ পরিচালনায় রিয়াদ ও মদিনায় ডানা মেলবে ইউএস-বাংলা

দেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা আগামীতে ঢাকা-জেদ্দা হজ ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এতে হজ যাত্রীদের সময় ও ভোগান্তি কমে আসবে বলে আশা করছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারে হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজে সাংবাদিক সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক বলেন, প্রতিবছরই হজের সময় এয়ারলাইন্সগুলোর সিডিউল […]

নিউজ ডেস্ক

২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫

দেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা আগামীতে ঢাকা-জেদ্দা হজ ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এতে হজ যাত্রীদের সময় ও ভোগান্তি কমে আসবে বলে আশা করছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারে হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজে সাংবাদিক সম্মেলনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক বলেন, প্রতিবছরই হজের সময় এয়ারলাইন্সগুলোর সিডিউল নিয়ে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়। এতে দেখা যায় হজ যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেদ্দায় পৌঁছাতে পারেন না। তাদের সুবিধার্থে এই ফ্লাইট চালুর জন্য আমরা ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও দিয়েছি। আশা করছি আমরা অদূর ভবিষতে এই রুটে ফ্লাইট চালু করার অনুমতি পেয়ে যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের জন্য বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মাসকট, দোহা, শারজা, আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সবশেষ ইউএস বাংলা সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে। জেদ্দায় আমরা শুধু ভাই-বোনদের সেবা দিচ্ছি না, উমরা হজ যাত্রীদেরও সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর মাধ্যমে সৌদি প্রবাসীদের পাশাপাশি যারা উমরা হজ করতে যাবেন তাদেরকেও সেবা দেওয়ার উদ্দেশে এ ফ্লাইট চালু করে এয়ারলাইন্সটি।

কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি এয়ারলাইন্সেরই চীনের একটি রাজ্যে ফ্লাইট পরিচালনার স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তর করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে এই এয়ারলাইন্সটি ঢাকা-গুয়াংঝু ফ্লাইট সফলভাবে পরিচালনা করে আসছে। কোভিডের সময় শুধু ঢাকা-গুয়াংঝু রুট ছাড়া বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধ ছিলো। সেই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস বাংলা। সেখান থেকেই আমরা মাস্ক, পিপিইসহ কোভিডের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি এনে বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করেছি। আমরা শুধু বিজনেস করছি তা কিন্তু নয় আমাদের জায়গা থেকে আমরা দেশ তথা মানুষের সেবা দেওয়ারও চেষ্টা করেছি।

আরেকটি রুট হচ্ছে ঢাকা-চেন্নাই। এই রুটে অনেক যাত্রী ছিলো কিন্তু সরাসরি কোনো ফ্লাইট ছিলো না। আমরা শুধু ছোট একটি সিদ্ধান্তে সেই রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের চট্টগ্রাম-কলকাতায় ৬টি ফ্লাইট পরিচালিত হতো। সেখান থেকে আমরা তিনটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম-চেন্নাই করে দেই। এতেই মানুষ এখন সরাসরি এই এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-চেন্নাই যাতায়াত করতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য একটি দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার কোনো সরাসরি ফ্লাইট ছিলো না। বারবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বলেও ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। অথচ এই দ্বীপ দেশটিতে বাংলাদেশের প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করছে। কিন্তু বাংলদেশ থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট না থাকার কারণে কলম্বো, চেন্নাই অথবা মধ্যপ্রাচ্য থেকে যেতে হতো। এতে সময় ও টাকা দুটোই বেশি খরচ হতো। সেই ভোগান্তি দূর করার জন্য আমরা সরাসরি ঢাকা-মালদ্বীপ ফ্লাইট চালু করেছি।

এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে রিয়াদ ও মদিনা রুটে আমরা ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা করেছি। এর জন্য আমাদের বহরে এয়ারবাস-৩৩০ যোগ করতে হবে। সেটি ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্ভব হবে বলে আশা করছি। এছাড়াও ২০২৬ সালের দিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ ইতালির রোমে ও ২০২৭ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক ও কানাডার টরেন্টোতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউএস-বাংলা ড্যাশ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রা শুরু করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সকল বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে স্বল্পতম সময়ে আকাশপথের যোগাযোগব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করেছে ইউএস-বাংলা।

যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহীতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ইউএস-বাংলা যাত্রা শুরুর দুই বছরের মধ্যে ১৫ মে ২০১৬ তারিখে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলে। ইউএস-বাংলার আন্তর্জাতিক রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাসকাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, জেদ্দা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু।

বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট আছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশের অধিক অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড রয়েছে ইউএস-বাংলার।

যাত্রীসেবায় অনন্য নজির স্থাপন করায় ইউএস-বাংলা দেশীয় এয়ারলাইনস হিসেবে যাত্রীদের কাছে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশে-বিদেশে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে ইউএস-বাংলার; যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানেও কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত ট্যাক্স-সারচার্জ পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে করছে আরও সুদৃঢ়।

ইউএস-বাংলার টিকিট সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস সুবিধা। দেশে এবং দেশের বাইরে নিজস্ব ৪০টির বেশি সেলস অফিস রয়েছে। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য রয়েছে ‘স্কাইস্টার’ প্রোগ্রাম।

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।