সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের শর্ত অনুযায়ী আত্নসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।
একইসাথে এদিন তার পক্ষে খালস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদিন মেসবাহ। এর আগে সকাল দশটার দিকে আত্নসমর্পণ করতে আদালতে আসেন শফিক রেহমান। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হয়। শফিক রেহমানের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালত আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমরা সাজা মওকুফের আবেদন করলে পরে তারিখ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শফিক রেহমান। দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতি সংস্কারে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ধরে রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। একইসঙ্গে বর্তমান সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার দাবি তুলেন। এক আদেশে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সকলের সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান প্রবীণ এই সাংবাদিক।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমান ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আাদালত। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে নির্বাহী আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সহ ৫ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।