গত কয়েকদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে ঘুরেফিরে যে বিষয়টি উঠে আসছে তা হচ্ছে নির্বাচন কবে? মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বেশ জোরেশোরেই।
এ নিয়ে মতভেদও আছে দলগুলোর। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার চায় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে নির্বাচন দিতে । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মতও একই।
বিএনপি সংস্কার চায় না, এ কথা সরাসরি বলছে না। তবে দলটি এখনই নির্বাচনের রোডম্যাপ বা দিন-তারিখ চায়। অতি জরুরি সংস্কার সেরে দ্রুত নির্বাচন চায়।
গত রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না।
কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে, সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি, আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।
গত সোমবার সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচি।
এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়। তাই শুধু নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়। ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।’
সোমবার (১৮ নভম্বর) সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যেও অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়েছে। আর ছাত্রনেতারা উল্টো ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের’ অভিযোগ এনে বিএনপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।
অন্তর্বর্তী সরকার-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বর্তমান সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে। ছাত্র-জনতার চাওয়াও সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
ফলে বিএনপির চাওয়া যা-ই হোক, নির্বাচন ও সংবিধান সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু সংস্কার শেষ করেই নির্বাচনে যেতে চায় সরকার। এখন পর্যন্ত এটাই সরকারের মনোভাব।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?