বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

মৃত হারিছকে ধরতে ইন্টারপোলে ঝুলছে রেড নোটিশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন, গত তিন বছর ধরেই তা বলে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডিএনএ পরীক্ষার পর পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে, মারা গেছেন তিনি। এরপরও মৃত হারিছ চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ঝুলছে রেড নোটিশ! আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে বিএনপির সাবেক এই […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন, গত তিন বছর ধরেই তা বলে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডিএনএ পরীক্ষার পর পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে, মারা গেছেন তিনি। এরপরও মৃত হারিছ চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ঝুলছে রেড নোটিশ!

আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে বিএনপির সাবেক এই নেতার মৃত্যুর বিষয়টি জানার পরও তা নিশ্চিত হতে তৎকালীন পুলিশ প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এতে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তাকে ধরিয়ে দিতে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা রেড নোটিশ জারি থেকে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সাভারের বিরুলিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষা করে পুলিশ।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখ গতকাল রোববার বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। লাশটি যে হারিছ চৌধুরীর, পরীক্ষায় তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।’ কিন্তু তাকে ধরিয়ে দিতে এখনো ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার নাম ও ছবি ঝুলছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলা হবে।’

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী  বলেন, আদালতের নির্দেশে গত ১৬ অক্টোবর বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থান থেকে হারিছ চৌধুরীর মরদেহের অংশ উত্তোলন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৫ নভেম্বর পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। পরের দিনই তা আদালতে জমা দেন তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, হারিছ চৌধুরীকে ওই কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে ২০২১ সালে দাফন করা হয়েছিল।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ওই মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন শাস্তির রায় দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। ওই বছরই পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোলে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়।

অবশ্য হারিছ চৌধুরীর রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য গতকাল রোববার পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি থেকে ইন্টারপোলে কোনো আবেদন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে হারিছ চৌধুরীর নামে রেড নোটিশ ঝুলতে দেখা গেছে। ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে রেড নোটিশ কর্নারে ঢুকে দেখা গেছে, বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশের পলাতক রেড নোটিশধারী ৬৪ জনের নাম ঝুলছে।

তাদের মৃত হারিছ চৌধুরীর নাম ও ছবি ১৮ নম্বরে রয়েছে। সেখানে তার নাম চৌধুরী আবুল হারিছ লেখা রয়েছে। এতে তার জন্মতারিখ থেকে শুরু করে জন্মস্থান, জাতীয়তা, উচ্চতা, ওজন, চুল, চোখের রংসহ দৈহিক বিবরণ রয়েছে। রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, কোনো পলাতক আসামিকে ধরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ইন্টারপোলে চিঠি পাঠায়। সেটি যাচাই করে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটি নিজেদের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশ জারি করে। কিন্তু নোটিশ জারি করা কোনো আসামি মারা গেলে বা গ্রেপ্তার হলে বিষয়টি ইন্টারপোলকে অবহিত করে সেই নোটিশ প্রত্যাহারের আবেদন করতে হয় এনসিবিকে।

এখনো মৃত হারিছ চৌধুরীর নামে রেড নোটিশ বলবৎ থাকার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) আলী হায়দার চৌধুরীর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয়। সরকারি মোবাইল নম্বরে কয়েক দফা কল দিয়ে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তার সাড়া মেলেনি।

চারদলীয় জোট সরকারের সময় হারিছ চৌধুরী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তিনি দলের যুগ্ম মহাসচিবেরও দায়িত্বও পালন করেন। তবে ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে।

তবে ২০২১ সালের শেষের দিকে হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন বলে তার স্বজনের বরাতে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তাকে ঢাকার অদূরে একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে বলা হয়। যদিও ওই সময় পুলিশ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত অক্টোবরে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর বাবার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

গত ১৬ অক্টোবর কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। তখন তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,

এক-এগারোর পর তার বাবা আত্মগোপনে চলে যান। তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। তিনি দেশ ছেড়ে কোথাও যাবেন না, আবার নিজের পরিচয় নিয়ে দেশে থাকার মতো পরিবেশও ছিল না, এ জন্য তিনি বাধ্য হয়ে পরিচয় পরিবর্তন করেন। মাহমুদুর রহমান নামে তার একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। তার পাসপোর্টে ওমরাহ করার জন্য ভিসা লাগানো ছিল, তবু তিনি দেশ ছাড়েননি।

সামিরা তানজিন জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি কখনো তার পরিচয় গোপন করেননি। যখনই কেউ জিজ্ঞাসা করেছে, বলেছেন সাভারে দাফন করা মাহমুদুর রহমান নামে ব্যক্তি বাবা হারিছ চৌধুরী এবং তিনি বাংলাদেশেই মারা গেছেন।

বাবা মারা যাওয়ার পর দাদাবাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘কিন্তু আমাকে ওই সময়ের স্বৈরাচারী সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বাধা দেওয়ায় বাধ্য হয়ে সাভারে কবর দেওয়া হয়। বাবাকে দাফন করার পর আমি নিজে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বাবার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছিলাম। বাবার মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল থাকতে পারে না।’

 

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪১১

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪১১

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪১১

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪১১