জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করতে ১৭ জুন ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শেষ দফার সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এটি হবে দ্বিতীয় অধিবেশনের শেষ বৈঠক, যেখানে প্রায় ৩০টি নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বৈঠকে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব বণ্টন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, নারী আসনসহ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ইস্যুতে মতপার্থক্য দূর করে ন্যূনতম ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ঘোষণাপত্র প্রণয়নের লক্ষ্য রয়েছে।
সূত্র মতে, ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জুলাই চার্টার’ নামে অভিহিত হতে যাওয়া এই দলিলটি রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতিসহ প্রকাশ করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এসব মৌলিক সংস্কারে আর পরিবর্তন না আনা যায়। কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রত্যাশা করছেন, সকল দলের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ঘোষণাপত্রটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
ইতোমধ্যে বিএনপি, এনসিপি সংবিধান অনুযায়ী সংসদে আস্থা ভোট চালুর পক্ষে মত দিলেও, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে রয়েছে মতবিরোধ। বিএনপি এতে আপত্তি জানালেও জামায়াতে ইসলামি ও এনসিপি পক্ষে মত দিয়েছে। সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদ বিরোধী দলের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়েও দলগুলোর অবস্থান ভিন্ন।
কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা এমন কিছু ইস্যু খুঁজছি, যেখানে সর্বসম্মত মত প্রতিষ্ঠা সম্ভব। পুরো প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কারের একটি স্থিতিশীল কাঠামো দাঁড় করানো।”
এই বৈঠকের মাধ্যমেই নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক যাত্রার ভিত্তি রচিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।