স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মাঠপর্যায়ের পুলিশের কাছে রাইফেলের মতো অস্ত্র থাকতে পারে, তবে ভারী মারণাস্ত্র কোনোভাবেই রাখা যাবে না। শনিবার সকালে রাজধানীর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদর দপ্তর পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি র্যাব-১ কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভারসাম্যপূর্ণ শক্তি কাঠামো তৈরি করতেই এই নীতিগত সিদ্ধান্ত। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, থানা পুলিশ কিংবা নিয়মিত ইউনিটের হাতে ভারী অস্ত্র তুলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে তিনি জানান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন যেহেতু একটি বিশেষায়িত বাহিনী, তাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কিছু বাড়তি সক্ষমতা থাকবে এবং সেই অনুযায়ী কিছু ভারী অস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “এপিবিএনের বড় একটি সমস্যা এখন যানবাহন। তাদের জন্য ২০০টি নতুন গাড়ি সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
” তিনি আরও যোগ করেন, অন্যান্য ইউনিটের তুলনায় এপিবিএনের আবাসন পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো হলেও থানার পুলিশদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক এবং সরকার তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করছে।
যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশে রাস্তা আছে ৭ শতাংশেরও কম, যেখানে একটি আদর্শ শহরে কমপক্ষে ২০ শতাংশ সড়ক অবকাঠামো থাকার কথা। যানবাহনের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এই সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিগত ১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
“দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে সার্বিকভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং এবারের ঈদে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন করেছে,” — বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, নতুন সরকারের নিরাপত্তা নীতি তুলনামূলকভাবে সংযত ও প্রশাসনিক দক্ষতা নির্ভর হতে যাচ্ছে, যেখানে শক্তির অপপ্রয়োগের জায়গায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, বরং কাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেই মনোনিবেশ করা হচ্ছে।