অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার (৯ জুন) যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করছেন। তার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। এই সফর ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ঘুরপাক খাচ্ছে।
সফরকালীন সময়ে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ গ্রহণ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি তার প্রথম ইউরোপ সফর হলেও বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই সফর বহুমাত্রিক গুরুত্ব বহন করছে।
বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে ইতোমধ্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্জীবিত করা, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচনা, এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে এই সফরের আলোচ্যসূচিতে।
বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু—বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত আনার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে এর বাস্তবায়ন ও কার্যকরতা সীমিত হতে পারে, তবুও সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এই পদক্ষেপকে ‘প্রতীকী সাহসী উদ্যোগ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই সফর ড. ইউনূসের জন্য যেমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের মঞ্চ, তেমনি দেশের জনগণের দৃষ্টি এখন তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা ও বাস্তব সক্ষমতার ওপর নিবদ্ধ—বিশেষত এমন এক সময়ে, যখন দেশে নির্বাচন ও রাজনীতি ঘিরে নানা সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?