বিতর্কিত পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের কর্মজীবনের ইতি ঘটল মাত্র আট মাসের মাথায়। শনিবার ছিল তার শেষ কর্মদিবস। বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে, তিনি আর সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না, যদিও তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নেই।
পররাষ্ট্র সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে অবসরের তিনটি বিকল্প প্রস্তাব সামনে আসে—স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাওয়া, রাষ্ট্রদূত পদে বদলি কিংবা ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর হিসেবে নিয়োগ। তবে তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
অবস্থার আরও জটিলতা সৃষ্টি হয় যখন ১৫ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হওয়ায় বৈঠকটি স্থগিত হয়। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে ড. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়। সম্ভাব্য পররাষ্ট্র সচিব হিসেবেও তার নাম শোনা যাচ্ছে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার গত সেপ্টেম্বরে সিনিয়রদের উপেক্ষা করে জসীম উদ্দিনকে সচিব পদে নিয়োগ দেয়। তবে শুরু থেকেই এ নিয়ে নানা মহলে অস্বস্তি বিরাজ করছিল।
এর আগে চীন, কাতার ও গ্রিসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জসীম উদ্দিন। বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের এই কর্মকর্তা নয়াদিল্লি, টোকিও, ওয়াশিংটন ডিসি ও ইসলামাবাদেও বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বার্লিনে জাতিসংঘের এক সম্মেলনে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরলে জসীম উদ্দিনের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?