আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে অবরোধের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি রয়েছে।
এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন- অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার প্রবেশ মুখে কর্মসূচি চলার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করছে সরকার। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ইতোমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যোগ করা হয় বিবৃতিতে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার জুমার পর তারা মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে মঞ্চ বানিয়ে সেখানে সমাবেশ করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে তাতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
সেখান থেকে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। পরে তারা সেদিন বিকাল থেকেই টানা অবস্থান করছেন শাহবাগে। শনিবার বিকালে সেখানে জনজমায়েত থেকে আবারও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
শুক্রবার বিকাল থেকে শাহবাগে অবস্থানের কারণে রাজধানীর ব্যস্ততম এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার রাজধানীর শনির আখড়া, শ্যামলীর শিশু মেলার সামনে একই দাবিতে অবরোধ হয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?