সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আকস্মিক দেশত্যাগকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়িবহর আটকে রেখে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানতে চান—সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেই জানান,
“সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে আমিও ব্যথিত। বিষয়টি আমার জ্ঞাতসারে হয়নি। তবে এ ঘটনায় কারা সহযোগিতা করেছে, তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“যারা এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে, তাদের বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আবদুল হামিদকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে—আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন মো. আবদুল হামিদ। পরে জানা যায়, তিনি থাইল্যান্ড গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মাধ্যম।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও একধাপ এগিয়ে বলেন,
“আমি যদি এ ঘটনার প্রকৃত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারি, তবে নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দেবো। আমি কোনো অবস্থায় এই অন্যায় মেনে নেব না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সামনে এই ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি বলেন,
“আমরা এমন এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, যেখানে কেউ দায়মুক্তি পাবে না—সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলে আমি নিজেকে আর উপযুক্ত ভাবব না।”
শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি শোনার পর ‘দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা’র দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। তারা বলেন,
“যদি একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচার থেকে পালাতে পারেন, তবে এই সরকার জনগণের কাছে কী বার্তা দিচ্ছে?”
ঘটনার পর সৈয়দপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং উচ্চপর্যায়ের তদন্ত টিম ঘটনাস্থলের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?