বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রোববার (৩ মে) এই রায় প্রকাশ করেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ উচ্চ আদালত ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের দেয়া রায় হুবহু বহাল রাখা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে শিবির সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ওই ঘটনার পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্মমভাবে পিটিয়ে আবরারকে হত্যা করেছে, যা সভ্য সমাজে নিন্দনীয়।”
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান,
মুজাহিদুর রহমান, তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মো. তোহা, শামীম বিল্লাহ, নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য, মুনতাসির আল জেমি, শামসুল আরেফিন রাফাত, মিজানুর রহমান, মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন পাওয়া পাঁচজন হলেন—মুহতাসিম ফুয়াদ, আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি ২০২3 সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান, যা নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা হয়।
এই রায়ের মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?