সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিস্ফোরক অডিও রেকর্ড দেশের রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। চিফ প্রসিকিউটর এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং “জুলাই বিপ্লবীদের” বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং চায়না রাইফেল ব্যবহারের অনুমোদন দেন।
এই দাবি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, আবার রাজনৈতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে একটি সুশৃঙ্খল গণআন্দোলন দ্রুতই রূপ নেয় এক ধরনের র্যাডিকাল রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংগঠিত ওই “জুলাই বিপ্লব” দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে। যদিও সরকার দাবি করে, এটি ছিল একটি উগ্রপন্থী আন্দোলন যা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলেছিল।
চিফ প্রসিকিউটরের বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি একটি তদন্ত কমিশনের হাতে এসেছে একটি অডিও রেকর্ডিং, যেখানে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়—”প্রয়োজনে চায়না রাইফেল দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে, এদের আর ছাড় দেওয়া যাবে না।” তিনি আরও বলেন, এই অডিও রেকর্ড আন্তর্জাতিক ফরেনসিক টিম দ্বারা প্রমাণিতভাবে সত্য।
সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, যেসব পুলিশ সদস্য নিচের সারিতে ছিলেন, তারা সরাসরি মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি করেছেন— তা শর্টগান নয় বরং রাইফেল জাতীয়। আর যারা উপরের স্তরে ছিলেন, তারা মাঠে থেকে কমান্ড দিয়েছেন।
এর মধ্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সুদ্বীপ কুমার ফিজিক্যালি উপস্থিত থেকে বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাদের উপস্থিতির প্রমাণ ভিডিওতেও পাওয়া গেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?