স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের পাশে আছে। তাদের ন্যায্য দাবিকে বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন করে।
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে, ন্যায় ও মানবতার পক্ষে। মার্চ ফর গাজা- শীর্ষক সমাবেশ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি
একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ঢাকায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশ, ফিলিস্তিন টিভির প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর, আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্মারক পাসপোর্ট ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আরব বিশ্বসহ অন্য মুসলিম দেশগুলো যা পারেনি, বাংলাদেশ তা করিয়ে দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভাই-বোনরা জানতে চায় নিশ্চয়ই এমন কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে যার কারণে বাংলাদেশের জনগণ ইসরাইলের বর্বর হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এত বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করে দেখিয়েছে। উপদেষ্টা এর কারণ হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিমদের সত্যিকারের ধর্মপরায়ণ মুসলিম হিসেবে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সংহতি ও সহমর্মিতা সম্পর্কে ফিলিস্তিনের জনগণকে আরও সচেতন করতে আগামী ১৭ মে ‘ফিলিস্তিন টিভি’র একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহপূর্বক একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করবে যা পরবর্তীতে ফিলিস্তিন টিভিতে প্রচারিত হবে।
রাষ্ট্রদূত আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি স্মারক পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।
উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্মারক পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে মর্মে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) শামীম খানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?