রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

পাচার হওয়া মেধা ফিরিয়ে এনে উন্নত দেশ বিনির্মাণে ড. ইউনূসের যুগান্তকারী কৌশল

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের পতনের পর পাচার হওয়া লাখ লাখ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার কথা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে আসছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলের পাচারের অর্থ ফেরাতে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে এবার আলোচনায় এসেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে পাচার হওয়া মেধা শক্তিকে ফিরে আনার বিষয়টি। দেশীয় মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে […]

পাচার হওয়া মেধা ফিরিয়ে এনে উন্নত দেশ বিনির্মাণে ড. ইউনূসের যুগান্তকারী কৌশল

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:২১

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের পতনের পর পাচার হওয়া লাখ লাখ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার কথা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়ে আসছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলের পাচারের অর্থ ফেরাতে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

তবে এবার আলোচনায় এসেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে পাচার হওয়া মেধা শক্তিকে ফিরে আনার বিষয়টি। দেশীয় মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশ বিনির্মাণের এই পদক্ষেপকে একটি যুগান্তকারী কৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সচেতন মহল বলছেন, যারা প্রকৃত অর্থেই মেধাবী তাদের সবাইকে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার করলে দেশ সিঙ্গাপুর হতে সময় লাগবে না। বাংলাদেশের অনেক মেধাবী দেশপ্রেমিক সন্তান দেশের বাহিরে রয়েছেন।

খুনি হাসিনার দীর্ঘ ১৬ বছরের দুর্বৃত্তায়নের শাসনামলে অবমূল্যায়ন, সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশের অভাব এবং রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

কিন্তু দেশপ্রেম তাদের হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে আছে। তাদেরকে দেশে এনে দেশের সেবা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেধাকে দেশে ফেরানো অসাধারণ কাজ। আর তাদের জন্য স্থায়ী জায়গা তৈরি করে দেয়া হবে ততটাই কঠিন কাজ। কেননা বাংলাদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাতে এরকম মেধাবীদের প্রতিপালন করে তার জন্য নীতিমালা গড়তে হবে।

আর এ নীতিমালা যাতে কার্যকরভাবে প্রতিপালিত হয় তা নিশ্চিত করতে দেশের প্রধান নির্বাহীর (প্রধান মন্ত্রী, এখন প্রধান উপদেষ্টা) দপ্তরে একটা পর্যবেক্ষণ কোষ থাকতে হবে। এ কোষ থেকে তাদের স্বাচ্ছন্দের দিকটা দেখতে হবে। সাথে কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করবে।

এনাদের লালনপালন ও তাদের থেকে প্রাপ্তি সম্পর্কিত বিষয়াদি প্রধান নির্বাহী সরাসরি সংসদকে (এখন উপদেষ্টা পরিষদে) অবহিত করবেন।শুধু আবেগে কাজ হবেনা। থাকতে হবে টেকসই নীতিমালা থাকতে হবে। তা না হলে ভাবাবেগ কর্পূরের মতো উবে যাবে।

যেসব মেধাবীকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে তাদের একজন ব্যক্তি আশিক চৌধুরী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই একের পর এক বাজিমাত করছেন তিনি।

ইতোমধ্যে কর্মদক্ষতা, উপস্থাপনা শৈলী, যোগ্যতা, বাচনভঙ্গি দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। নেট দুনিয়া থেকে চায়ের আড্ডা, সাধারণ মানুষ থেকে উচ্চবিত্ত প্রায় সব শ্রেণির মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।

এককথায় সর্বত্রই তার প্রশংসার জোয়ার তৈরি হয়েছে। সর্বশেষে বিনিয়োগ সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তার অসাধারণ উপস্থাপনা মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

জানা গেছে, আশিক চৌধুরী পেশায় ব্যাংকার। সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার একটি ফোনকলে তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন।তিনি একজন স্কাইডাইভার।

যিনি ৪১ হাজার ফুট উঁচু থেকে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে লাফ দেন। যার কারণে তিনি ইতোমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নাম লিখিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত আরো একজন গুণী ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন ড. ইমাদুর রহমান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে শীর্ষ মার্কিন ব্যবাসায়ী ইলন মাস্কের স্টারলিংক। যার হাত ধরে স্টারলিংক বাংলাদেশে এসেছে ড. ইউনূসের পর তিনিই হচ্ছেন ড. ইমাদুর রহমান।

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

এরিকসনের মতো বড় কোম্পানি ছেড়ে দেসে এসেছেন তিনি। ড. ইমাদুর রহমান ড. ইউনুসের নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে সহযাত্রী হিসেবেই দেশে ফিরেছেন। তার পেশাগত জীবন এক চমৎকার দৃষ্টান্তে ভরা।

আশিক চৌধুরীর প্রেজেন্টেশন দেওয়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ব্যবহারকারী আমিনুজ্জামান মোহাম্মদ লিখেছেন, আশিক ভাইয়ের প্রেজেন্টেশন সত্যিই অবিস্মরণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক।

এটা শুধু একটি প্রেজেন্টেশন ছিল না, বরং বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে এক বিশাল প্রত্যাশা এবং বিশ্বাসের বার্তা।

আমাদের দেশের প্রতিটি মেধাবী সন্তান, যাদের আশিক ভাইয়ের মতো প্রতিভা রয়েছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে, এটা দেশের জন্য যেমন একটি বিশাল মাইলফলক হবে, তেমনি দেশের উন্নতির পেছনে একটি শক্তিশালী চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।

প্রেজেন্টেশন দেখার পর মনে হচ্ছে, আমাদের দেশের মেধাবী সন্তানরা যেন সঠিক পথে পরিচালিত হতে না পারলে কতটা বড় ক্ষতি হয়।

আহমদ শফী লিখেছেন, অবশ্যই দেশের যে মেধা পাচারের মাধ্যমে দেশ মেধা শূন্য হয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে পারলে বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় চলে যাবে কোন সন্দেহ নেই। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির কারণে বাংলাদেশে বিগত তেপান্ন বছর ধরে মেধা শূন্য হয়েছে।

এই মেধাবীদের দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারলে দেশের টাকা ফিরিয়ে আনার চাইতে বেশি বেনিফিট পাবে আশা করি কারণ মানব সম্পদের চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই।

তাইবুর রহমান পাভেল লিখেছেন, বাংলাদেশে ওনার মতো আরও হাজারো হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ সত্যবাদী, দেশপ্রেমিক, ন্যায়নীতি, স্মার্ট, স্বপ্ন বিলাসী, মানুষকে বিগত সরকারের আমলে অবমূল্যায়ন করার জন্য তাঁরা নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করেছে!

একমাত্র তাঁদের নিজস্ব মেধার মূল্যায়ন না পাওয়ার কারনে!না হলে দেশের চোরদের ভাগে কম পড়ে যাবে!দেশটাকে একটা দূর্নীতির মহাসাগরে রূপান্তরিত করছে ওরা!

আনিসুর রহমান লিখেছেন, ড. ইউনূস আমাদের নতুন আশার আলো। তিনি সময় পেলে দেশের অর্থ যেমন ফিরিয়ে আনবেন তেমনি দেশের মেধাবী সন্তানদেরও ফিরিয়ে আনবেন ইনশাআল্লাহ। সর্বপরি দেশটাকে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত একটা দেশে পরিণত করবেন ইনশাআল্লাহ।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮২০

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮২০

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮২০

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৯৮
)?$/gm,"$1")],{type:"text/javascript"}))}catch(e){d="data:text/javascript;base64,"+btoa(t.replace(/^(?:)?$/gm,"$1"))}return d}-->