অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণে দেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় দেশগুলোতে রপ্তানি সক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনা করছে সরকার।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে ভারত। সমস্যা হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করব। বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াব আমরা।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রপ্তানী এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে সেটার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করবে। বাণিজ্যকে কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিযোগিমূলক করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করব আমরা।
আমরা অবশ্যই এখান থেকে উতরাতে পারব। ভারতের তিনটি পোর্ট ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট হতো। সরকার এখন অন্য উপায়ে এগুলো করার চেষ্টা করবে এবং এটা করা সম্ভব। শিগগিরই এই প্রভাব কাটিয়ে উঠব।’
আমেরিকা নতুন শুল্কনীতি ৯০ দিনের স্থগিত করেছে—এ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের তাৎক্ষণিক সুরক্ষা দেবে। আলোচনার সময় আরও পাচ্ছি আমরা। সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তাই নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যঘাটতি কমানোর নানা পদক্ষেপ নিতে পারব।’

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?