মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

গিনেস বুকে রেকর্ড গড়েছিলেন আগেই, এখন গড়ছেন বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এক নাম – আশিক চৌধুরী । গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম লেখানোর পর এবার দেশের অর্থনৈতিক নেতৃত্বেও রাখছেন অসাধারণ ভূমিকা । সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকান-সবখানেই এখন তাঁর গল্প, তাঁর বন্দনা । ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক পদত্যাগ ও দায়িত্ব হস্তান্তরের পর দেশের দায়িত্ব নেন নোবেল […]

গিনেস বুকে রেকর্ড গড়েছিলেন আগেই, এখন গড়ছেন বাংলাদেশ

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬

বাংলাদেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এক নাম – আশিক চৌধুরী । গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম লেখানোর পর এবার দেশের অর্থনৈতিক নেতৃত্বেও রাখছেন অসাধারণ ভূমিকা । সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকান-সবখানেই এখন তাঁর গল্প, তাঁর বন্দনা ।

৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক পদত্যাগ ও দায়িত্ব হস্তান্তরের পর দেশের দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস । এরপর এক মাস পার হতেই সিঙ্গাপুর থেকে আশিক চৌধুরী–কে উড়িয়ে এনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA)–এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি ।

নিয়োগের শুরুতে তাঁর দক্ষতা ও দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে ছিল নানা সংশয় । তবে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই সেই সংশয় কাটিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন আশিক চৌধুরী ।

তিনি একদিকে যেমন বৈদেশিক বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, অন্যদিকে দেশের মাটিতে একত্র করেছেন নাসা, স্টারলিঙ্কসহ বিশ্বসেরা প্রযুক্তি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের । এ যেন বাংলাদেশের বিনিয়োগ ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় ।

আশিক চৌধুরীর পূর্ণ নাম চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন । চাঁদপুরে জন্ম হলেও বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কেটেছে যশোরে । শিক্ষা জীবন শুরু করেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে, পরে ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)–এ ।

স্নাতক সম্পন্ন করে চলে যান যুক্তরাজ্যে । লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে ফাইনান্সে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ।

পেশাগত জীবন শুরু করেন ২০০৭ সালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো–তে । এরপর কাজ করেছেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক–এ, যেখানে ছিলেন ল্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজি ও ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং ম্যানেজার ।

এরপর আশিক যুক্ত হন দ্য বেঞ্চ নামক দেশের প্রথম স্পোর্টস বারের সঙ্গে উদ্যোক্তা হিসেবে । ২০১২ সালে লন্ডনে আমেরিকান এয়ারলাইন্স–এ ফিনান্সিয়াল ও স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিস্ট পদে যোগ দেন ।

একই সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি)–তে ভিজিটিং প্রফেসর, এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট–এর উপদেষ্টা ।

পরবর্তীতে যোগ দেন এইচএসবিসি বাংলাদেশ–এ এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে এইচএসবিসির গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন । সেখান থেকেই তাঁকে দায়িত্বে নিয়ে আসেন ডক্টর ইউনুস ।

এ দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে আশিক লেখেন-“সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এক দুপুরে প্রফেসর ইউনুস হঠাৎ ফোন করে বললেন, ‘আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে, আসবা নাকি?’ আমি নন্দিনীকে জিজ্ঞেস না করেই রাজি হয়ে গেলাম । জানতাম, ও কোনদিন মানা করবে না ।”

তিনি আরও লেখেন-“৪৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমরা সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়ে ছুড়ে দেশের পথে রওনা দিলাম বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে । বন্ধুদের ভাষায় আমি এখন বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার ।”

আশিক চৌধুরী শুধু একজন অর্থনীতিবিদ বা প্রশাসকই নন, তিনি একজন পেশাদার স্কাই ডাইভার । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪১ হাজার ফিট উচ্চতা থেকে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে লাফিয়ে পড়ে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড ।

এত উচ্চতা থেকে কোন ব্যানার বা পতাকা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রথম ব্যক্তি হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান আশিক চৌধুরী ।

যেভাবে আশিক চৌধুরী দেশের পতাকাকে আকাশের সর্বোচ্চ উচ্চতায় তুলে ধরেছিলেন, ঠিক সেভাবেই তিনি যেন বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও নিয়ে যান নতুন এক উচ্চতায়-এমনটিই এখন দেশবাসীর প্রত্যাশা তিনি ইতোমধ্যে যেভাবে বিনিয়োগ পরিবেশকে সচল, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের করে তুলেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয় ।

গিনেস বুক থেকে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত-আশিক চৌধুরীর যাত্রা যেন এক অনুপ্রেরণার গল্প । আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্মাণে তাঁর অবদান কতখানি তা সময়ই বলে দেবে, তবে সূচনা যে দুর্দান্ত, তা বলাই যায় ।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭৯২

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৫৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭৯২

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৫৯