জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ডা. তাসনিম জারার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে তাকে অনুপ্রেরণামূলক নেত্রী হিসেবে প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে ডা. জারার সঙ্গে তোলা দুটি হাস্যজ্বল ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘অনুপ্রেরণামূলক তরুণ নেত্রী তাসনিম জারার সঙ্গে।
ঢাকা জেলার সন্তান ডা. তাসনিম জারা ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর কেটেছে ঢাকাতেই। তিনি ভিকারুন্নেছা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমান এবং সর্বোচ্চ ফলাফলসহ (ডিসটিঙ্কশন) সেখানকার ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট থেকে ডিআরসিওজি (ডিআরসিওজি) ডিগ্রি অর্জন করেন, যা নারীর স্বাস্থ্যবিষয়ক অগ্রগামী জ্ঞানের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
ভ্যাকসিন নিয়ে জনসচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডা. তাসনিম জারাকে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ উপাধিতে ভূষিত করে যুক্তরাজ্য সরকার। তার কাজ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যেমন বিবিসি, টাইমস, স্কাই নিউজ, ইয়াহু এবং দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২০২৪ সালে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক ডিসিশন-মেকারস ইন এভিডেন্স (এফআইডিই) এর ফেলো হিসেবে স্বীকৃতি পান।
বর্তমানে ডা. জারা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের হায়ার এডুকেশন একাডেমির একজন অ্যাসোসিয়েট ফেলো এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইনস্টিটিউশনাল রিভিউ বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?