বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি যে বাংলাদেশে জন্মেছি, সেই দেশ আজ অনেক ক্ষেত্রেই উন্নতির মুখ দেখলেও, মানুষের মৌলিক অধিকার এখনো হুমকির মুখে।”
ড. ইউনূস তুলে ধরেন সাধারণ মানুষের ন্যায্য বিচার না পাওয়া, দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং বাক-স্বাধীনতার সংকোচনের বিষয়গুলো।
তিনি বলেন, “আমি যে স্বপ্ন দেখেছিলাম—একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সহানুভূতিশীল বাংলাদেশ—সেই স্বপ্ন আজ অনেকটাই ঝাপসা।” এই কথাগুলো বলতে গিয়ে তার কণ্ঠ বাষ্পরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণের জন্য তিনি থেমে যান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সমাজে যেসব মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চায়, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে চিত্র তিনি তুলে ধরেন, তা উপস্থিত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গকে নাড়া দেয়।
ড. ইউনূসের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অনেকেই তার সাহসিকতা এবং সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য তাকে সাধুবাদ জানান। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সরকারের বিরুদ্ধে একধরনের রাজনৈতিক বার্তা।
যেমনই হোক, ড. ইউনূসের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট আর হতাশা। তাঁর অশ্রু যেন শুধুই একজন ব্যক্তির নয়, বরং গোটা জাতির বেদনার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?