রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

বিনিয়োগের এত অনুকূল পরিবেশ কখনো ছিল না : ড. ইউনূস

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এত অনুকূল পরিবেশ এর আগে কখনো ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, ‘গত […]

বিনিয়োগের এত অনুকূল পরিবেশ কখনো ছিল না : ড. ইউনূস

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:০৭

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এত অনুকূল পরিবেশ এর আগে কখনো ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ মঙ্গলবার চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, ‘গত আট মাস ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য দেশে আগে কখনো এত অনুকূল পরিবেশ ছিল না।’

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোরিয়া ও চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ সভা করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বিনিয়োগ সম্পর্কিত যেকোনো উদ্বেগ মোকাবেলা করাসহ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ দ্রুততর করার ব্যাপারে আলোচনা হবে।

ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবর্তিত বিনিয়োগ পরিবেশ, বাণিজ্য এবং শ্রম-সম্পর্কিত সংস্কার বাংলাদেশে আরো বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে এবং চীনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার উৎপাদন কারখানা দেশে স্থানান্তরকে সহজতর করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিডার (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রতি মাসের ১০ তারিখে কোরিয়ান এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মাসিক প্রাতঃরাশ বৈঠকের আয়োজন করবেন। বিডা কর্তৃক এই বৈঠকের আয়োজন করা হলেও প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগকারীদের উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা শোনার জন্য তাদের কয়েকটিতে যোগ দেবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিবন্ধন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি হটলাইন এবং কল সেন্টার পরিষেবা প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেকোনো বিনিয়োগকারী এই নম্বরে কল করে তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন এবং আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল, মোবাইল টেলিযোগাযোগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ এবং আইটি পরিষেবার মতো খাতে প্রধান বিশ্বব্যাপী কম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী কমপক্ষে ৩০ জন বিশিষ্ট চীনা বিনিয়োগকারী সভায় অংশ নেন।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কম্পানি মেইনল্যান্ড হেডগিয়ার কম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পলিন এনগান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়টিও তুলে ধরেন। প্রেসিডেন্ট শি শীর্ষ চীনা কম্পানিগুলিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করার জন্য তার প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন।

বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার আহ্বানে আমি মুগ্ধ হয়েছি।’

চীনা কম্পানিগুলোর কর্তারা চট্টগ্রামে ডেডিকেটেড চীনা ইকোনমিক জোন এবং মংলায় চায়নিজ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন; যেখানে চীন একটি সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়নের কাজ করতে চলেছে।

এ সময় প্রফেসর ইউনূস আরো বলেন, ‘আমাদের এখানে বাজার তৈরি রয়েছে। আপনি নেপাল এবং ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতেও সরবরাহ করতে পারেন।’

কিছু বৃহৎ চীনা কম্পানি ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) রূপান্তর, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন, বায়ু টারবাইনের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং অফশোর ফটোভোলটাইক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের একটি দল। এতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৫৬

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮৪৭

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৪

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৫৬
)?$/gm,"$1")],{type:"text/javascript"}))}catch(e){d="data:text/javascript;base64,"+btoa(t.replace(/^(?:)?$/gm,"$1"))}return d}-->