শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

প্রবাসীদের ভোটিং পদ্ধতি দ্রুতই চালু করা হবে: সিইসি

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি উপযোগী ও নিরাপদ ভোটিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) অনুষ্ঠিত ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণের […]

প্রবাসীদের ভোটিং পদ্ধতি দ্রুতই চালু করা হবে: সিইসি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩০

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি উপযোগী ও নিরাপদ ভোটিং পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) অনুষ্ঠিত ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণের ওয়ার্কশপ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিইসি।

কর্মশালায় ৮০ জন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, আইনবিদ, ডাটাবেইজ ও সাইবার নিরাপত্তা বিশারদসহ অন্তত ৮০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা প্রবাসীদের ভোটাধিকার কার্যকর করতে সম্ভাব্য প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, আইনি কাঠামো ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

সিইসি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রায় এক কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া। এটি শুধুমাত্র একটি সাংবিধানিক অঙ্গীকার নয়, বরং প্রবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার অংশ।”

কীভাবে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে?
ইসি সূত্র জানায়, প্রবাসী ভোটারদের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, বায়োমেট্রিক যাচাই, ডিজিটাল ভোটিং প্ল্যাটফর্ম (ই-ভোটিং) এবং নিরাপদ প্রেরণব্যবস্থা—এই চারটি ধাপে প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হতে পারে।

বর্তমানে প্রবাসীরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারলেও, নিজের অবস্থান থেকে ভোট দিতে পারেন না। তাদের দেশে এসে ভোট দিতে হয়। এই বাস্তবতা অনেককেই ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা
ভারত, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ডাক ভোট (Postal Voting), ইন্টারনেট ভোটিং (i-voting) এবং দূতাবাসভিত্তিক ভোটিং বুথ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও এসব দেশের মডেল বিশ্লেষণ করে একটি নিরাপদ ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনায় রয়েছে।

চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের ভোট প্রদান প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিরাপত্তা, পরিচয় যাচাই, তথ্য সংরক্ষণ ও ভোটের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা। এছাড়া, ভিন্ন দেশে ভিন্ন আইন, সময়মত ভোট পাঠানো এবং সুষ্ঠু গণনার ব্যবস্থাপনাও একটি জটিল দিক।

তবে, সিইসি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমরা পিছিয়ে থাকবো না। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা সফলভাবে এটি বাস্তবায়ন করবো।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়াসহ বড় প্রবাসী অধ্যুষিত কয়েকটি দেশে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই ভোটিং ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য দেশেও এটি সম্প্রসারণ করা হবে।

ইসি’র সিনিয়র সচিব জানান, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম (পাইলট প্রকল্প) ঘোষণা করা হতে পারে। এছাড়া, এ বছরের মধ্যেই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ভোটিং পদ্ধতির কাঠামো প্রকাশ করা হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হলে দেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো এই জনগোষ্ঠী আরও সম্পৃক্ততা অনুভব করবে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৭৫

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৯০৫

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮১২

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮১২