বাংলাদেশী সাংবাদিক ও লেখক খালেদ মুহিউদ্দীন তার ইউটিউব চ্যানেল ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ এ সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনে ডক্টর ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক পরবর্তী আলোচনা ও বিশ্লেষণ করেছেন।
তিনি তার মন্তব্যে বলেন, “ভারত বাংলাদেশে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং এখন এটি মেনে নিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া এ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।”
খালেদ মুহিউদ্দীন আরও বলেন, “ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ডক্টর ইউনূস এবং মোদীর বৈঠকের পর জানিয়েছেন যে, মোদী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, সম্প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্যের পর মোদী পরামর্শ দিয়েছেন, এমন কিছু বলা উচিত নয় যা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, তবে বাংলাদেশের সরকার বারবার দাবি করেছে, “আপনারা নিজে এসে দেখে যান, তারপর বিবেচনা করুন এই ঘটনাগুলো কতটা সত্যি এবং কতটা অতিরঞ্জন।”
ইউনূস সরকারও একই অবস্থানে থেকে বলেন, “সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন দাবি করা হচ্ছে, তা বাস্তবতার সাথে মেলে না। যারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল। হিন্দুদের উপরও একই ধরনের অত্যাচার হয়েছে, যেমন মুসলমানদের উপর হয়েছে।”
এটি ইউনূস সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন অফিসিয়াল ভার্সন বলে উল্লেখ করেন খালেদ মুহিউদ্দীন।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?