তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই গুমের রাজনীতি যারা চালিয়েছে—তাদের বিচার হবেই। জাতিকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখা গুম-খুনের দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না আওয়ামী লীগ।”
মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর আয়োজনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় ভুক্তভোগীরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বজনদের সন্ধান দাবি করেন, আর উপদেষ্টা আশ্বাস দেন—এই বর্বরতার দিন শেষ।
মাহফুজ আলম বলেন, “২০১৩ ও ২০১৪ সালে যখন মানুষ ভোটাধিকারের জন্য রাজপথে নামছিল, তখনই ইতিহাসের ভয়াবহতম গুম অভিযান চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ। উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা। শেখ হাসিনা নিজের পরিবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে পুরো জাতিকে জিম্মি করেছিলেন।”
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এই দেশে আওয়ামী লীগকে আর কখনো রাজনৈতিকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। তাদের হাতে মানুষ ফের তুলে দিলে গুম-খুন ফিরবে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পুড়বে।”
তথ্য উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার ইতিমধ্যে গুম-সংক্রান্ত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যারা প্রাথমিক তদন্ত শেষে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে গুম করেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করে সেসব পরিবারের ওপর দীর্ঘমেয়াদি আতঙ্কের রাজনীতি চাপিয়ে দিয়েছে। এখন সেই প্রতিটি গুমের জবাবদিহি হবে—আইনি কাঠগড়ায়।”
সভায় উপস্থিত গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা আবেগঘন পরিবেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সন্ধান দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মাহফুজ আলমের ভাষায়, “গুমের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকতে এই অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আওয়ামী শাসনের কুশীলবদের আর ছাড় নেই।”

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?