প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখনো পূর্ণতা পায়নি। আমাদের সামনে অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ রয়েছে। একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই জাতীয়ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “দেশে শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই শান্তির ভিত্তি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে মানুষ নিজের মত করে চলতে পারে, কাউকে ভয় না পেয়ে—একটি নিরাপদ ও সমমর্যাদার রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “ঈদের বাণীই হলো—সমঝোতা, ক্ষমা ও ভবিষ্যতের পথে সম্মিলিত অগ্রগতি। আজকের এই শুভদিনে আমরা অতীতের বিভাজন ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এটা আমাদের জাতিগতভাবে একটি বিশাল আশীর্বাদ যে আমরা অন্তত একটি দিনের জন্য হলেও মিলেমিশে থাকতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “এই একদিনের ঐক্য যেন সাময়িক না থাকে। এখন থেকে আমাদেরকে জাতি হিসেবে এক সুতোয় গাঁথা শুরু করতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশকে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে হবে। চারপাশে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে তবেই আমরা একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব।”
জাতীয় জীবনে এই মুহূর্তে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই সময়টায় জাতির জন্য ঐক্য অপরিহার্য। বিভাজনের রাজনীতি পিছনের ইতিহাস। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নতুন অধ্যায় রচনা করতে হবে, যেখানে সবাই নিজের অবস্থান থেকে দেশ গড়ার কাজে অংশ নেবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য শুধু ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা জাতির সামনে একটি ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা। জাতীয় ঐক্য ও শান্তির বার্তায় তার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি ও লক্ষ্য সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক সমঝোতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?