পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মুহাম্মদ শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ টেলিফোনালাপ হয়েছে। আলাপকালে উভয় নেতা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে অভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শেহবাজ শরিফ এক্সে দেওয়া পোস্টে জানান, “বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে মনোরম আলাপ হয়েছে। আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি এবং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নয়নে আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।”
পাক প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, আগামী ২২ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে। একইসঙ্গে তিনি ড. ইউনূসকে সুবিধাজনক সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
শেহবাজ শরিফ বলেন, “আমি অধ্যাপক ইউনূসকে আন্তরিকভাবে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। সেই সঙ্গে কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার নেতৃত্বে একটি সাংস্কৃতিক দলকেও পাকিস্তানে স্বাগত জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই টেলিফোনালাপ এবং সফরের পরিকল্পনা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতার আবহ কাটিয়ে নতুন অধ্যায় সূচনার বার্তা বহন করছে। বিশেষ করে, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রস্তাব কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি জনগণ পর্যায়ে বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে এই যোগাযোগ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?