পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল সোমবার সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা হবে ঈদুল ফিতর। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
তবে এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অংশ নেবেন না। তিনি বঙ্গভবন প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। জাতীয় ঈদগাহের জামাতে অংশ নেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কোথায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতি ঈদের নামাজ আদায় করবেন বঙ্গভবনে।”
তিনি আরও বলেন, “আবহাওয়ার অনুকূলতা না থাকলে এবং দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদের অভ্যন্তরে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামাত সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।”
এ সময় ঈদ উদযাপনের তারিখ নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা জানান, “সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের কিছু জায়গায় ঈদ উদযাপন করা হয়। তবে এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, বাংলাদেশে চাঁদ দেখে রোজা রাখা হয়, চাঁদ দেখে ঈদ পালন করা হয়।”
তিনি বলেন, “সৌদি অনুসরণ করে ঈদ উদযাপন নিয়ে অতীতেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। আমরা এই বিতর্কে না গিয়েই সযত্নে চাঁদ দেখা এবং ধর্মীয় রীতিনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছি।”
জাতীয় পর্যায়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং ধর্মীয় সৌহার্দ্য রক্ষায় সরকারের এ ধরণের আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব ঈদের আনন্দকে আরও গভীর ও সার্বজনীন করে তুলবে বলে আশা করছেন নাগরিক সমাজ।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?