পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় তিনি দেশবাসীকে ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতরে সকলকে জানাই ঈদ মোবারক।”
ড. ইউনূস তার বার্তায় ঈদের গুরুত্ব, পারিবারিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক সংহতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে ও আনন্দের সঙ্গে নিজ নিজ বাড়ি যাবেন। আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করবেন। দরিদ্র পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেবেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আপনার সন্তানদের গরিব-দুঃখীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন, যাতে তারা ছোটবেলা থেকেই সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে। ঈদ হোক সামাজিক বন্ধনের প্রতীক, হোক মানবিক মূল্যবোধের চর্চা।”
ঈদের জামাত ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “যে কোনো মতপার্থক্য বা মতাদর্শগত ভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা যেন পরাজিত শক্তির প্ররোচনার মুখে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি, সেজন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করি।”
তিনি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ঈদের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে গিয়ে সবাই যেন এক কাতারে দাঁড়িয়ে জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে—এটাই হোক আমাদের আজকের অঙ্গীকার।”
বার্তার শেষাংশে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “আমি কামনা করি, সকলের জীবন হোক সার্থক, হোক আনন্দময়। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, আমাদের পথ প্রদর্শন করুন এবং আমাদের ঐক্য, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে শক্তি দিন।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঈদ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার এই বার্তা শুধু ধর্মীয় শুভেচ্ছা নয়, বরং রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐক্যের একটি শক্তিশালী বার্তাও বহন করে, যা দেশের চলমান রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?