জনসাধারণের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নিরপেক্ষতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার (২৯ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে সেনাবাহিনী ঢাকা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে নিরাপত্তা নজরদারি জোরদার করেছে। শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক যাতে স্থিতিশীল থাকে, সেজন্য সেনাবাহিনী বিভিন্ন সময়ে সমন্বয়মূলক বৈঠক করছে। পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন কেন্দ্র যেমন লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একযোগে দায়িত্ব পালন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের প্রধান সড়কগুলোর যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। তাদের এ উদ্যোগের ফলে ঈদের আনন্দ সবার কাছে পৌঁছাবে এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা চলমান থাকবে। ঈদের সময় জনগণ যাতে নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফিরতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সকল ধরনের সহায়তা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ঈদকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা রোধে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা দেশের জনগণের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে। সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগ শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না, বরং একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সামাজিক পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?