বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ বেড়ে ৬.৯৪ কোটি টাকা

গত বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর আগের বছর বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বছর এই খাতে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে গত দুই অর্থবছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় ১.২৪ […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ মার্চ ২০২৫, ১৮:১১

গত বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর আগের বছর বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বছর এই খাতে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে গত দুই অর্থবছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় ১.২৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে এ বছর ৬.৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশব্যাপী দিবসটি পালনের জন্য প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসনের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমোদিত জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে এ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

গত বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর আগের বছর বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বছর এই খাতে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ থেকে এসব অর্থ উত্তোলনে সম্মতি চেয়ে গত ৬ মার্চ অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এ বছর জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। গত দুই বছর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজসহ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এক লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার তা বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হচ্ছে।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে এ বছর ঢাকাসহ ৬৪টি জেলার সদর উপজেলা প্রশাসনের অনুকূলে ৭৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

সদর উপজেলাগুলো বাদ দিলে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৩৫টি। এ ধরনের প্রত্যেকটি উপজেলা প্রশাসনের অনুকূলে ৬০ হাজার টাকা করে মোট ২.৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন ও বাস্তবায়নে এই অর্থ ব্যয় করবে।

গত বছর জেলা সদর উপজেলা বাদে অন্যান্য উপজেলাগুলোকে মোট ২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, আগের বছর এটি ছিল ২.১৬ কোটি টাকা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) বলেছে, ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজের কারণে এ বছর ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব না হলেও দেশের বাকি ৬৩ জেলায় আয়োজন হবে।

প্রতিবছরের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কারাগারের বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে। এ খাতে গত দুই বছরের মতো এ বছরও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

তবে গত দুই বছরের চেয়ে এ বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ কম পাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত দুই বছর ১.২০ কোটি টাকা হারে বরাদ্দ পেয়েছে। এ বছর তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩২ লাখ টাকা। জাতীয়ভাবে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয় করা এবং আমন্ত্রণপত্র, গেইট, ব্যানার, ফেস্টুন ও ব্রান্ডিংসহ বিভিন্ন কাজে এ অর্থ ব্যয় হয়।

এ বছর স্বাধীনতা দিবসে কোনো কর্মসূচি না থাকায় বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ থাকছে না। যদিও গত দুই বছর এসব প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে এবং এজন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়েছে।

কর্মসূচি না থাকার কারণে এবার বরাদ্দ না পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৯০

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৩০০

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৯০

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৩০০