গত বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর আগের বছর বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বছর এই খাতে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে গত দুই অর্থবছরের তুলনায় এবার বরাদ্দ বাড়ছে। গত অর্থবছরের তুলনায় ১.২৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে এ বছর ৬.৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশব্যাপী দিবসটি পালনের জন্য প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসনের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুমোদিত জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে এ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর আগের বছর বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বছর এই খাতে বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ থেকে এসব অর্থ উত্তোলনে সম্মতি চেয়ে গত ৬ মার্চ অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ বছর জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। গত দুই বছর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজসহ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এক লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার তা বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে এ বছর ঢাকাসহ ৬৪টি জেলার সদর উপজেলা প্রশাসনের অনুকূলে ৭৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলাগুলো বাদ দিলে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৩৫টি। এ ধরনের প্রত্যেকটি উপজেলা প্রশাসনের অনুকূলে ৬০ হাজার টাকা করে মোট ২.৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন ও বাস্তবায়নে এই অর্থ ব্যয় করবে।
গত বছর জেলা সদর উপজেলা বাদে অন্যান্য উপজেলাগুলোকে মোট ২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, আগের বছর এটি ছিল ২.১৬ কোটি টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) বলেছে, ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজের কারণে এ বছর ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব না হলেও দেশের বাকি ৬৩ জেলায় আয়োজন হবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কারাগারের বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে। এ খাতে গত দুই বছরের মতো এ বছরও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
তবে গত দুই বছরের চেয়ে এ বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বরাদ্দ কম পাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত দুই বছর ১.২০ কোটি টাকা হারে বরাদ্দ পেয়েছে। এ বছর তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩২ লাখ টাকা। জাতীয়ভাবে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমন্বয় করা এবং আমন্ত্রণপত্র, গেইট, ব্যানার, ফেস্টুন ও ব্রান্ডিংসহ বিভিন্ন কাজে এ অর্থ ব্যয় হয়।
এ বছর স্বাধীনতা দিবসে কোনো কর্মসূচি না থাকায় বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ থাকছে না। যদিও গত দুই বছর এসব প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে এবং এজন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়েছে।
কর্মসূচি না থাকার কারণে এবার বরাদ্দ না পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?