জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ ভূমিকা রাখায় ৭ ব্যক্তিকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এসব ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এবারের তালিকায় ৭ জনের মধ্যে ছয়জনকেই মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে বদরুদ্দীন উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কার পেলেও তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। যে কারণে তার পদকের রেপ্লিক জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘‘প্রতিবাদী তারুণ্য’’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর এ পুরস্কার পেয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। তার পদক গ্রহণ করেন মা রোকেয়া খাতুন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম। প্রয়াত এ অধ্যাপকের পদক গ্রহণ করেন তার মেয়ে সাদাফ সাদ সিদ্দিকী।
সাহিত্যে অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ)। তার পদক তুলে দেওয়া হয় কবিকন্যা বেগম আতিয়া মীরের হাতে।
সংস্কৃতিতে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন নভেরা আহমেদ। প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তার পদক পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সমাজসেবায় পুরস্কার পাওয়া স্যার ফজলে হাসান আবেদের পদক গ্রহণ করেছেন তার ছেলে শামেরান আবেদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খানের (পপ সম্রাট আজম খান) পদক দেওয়া হয়েছে তার মেয়ে অরণী খানের হাতে।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, ৩ লাখ টাকা এবং সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘তাদের পুরস্কৃত করতে পেরে জাতি আজ গর্বিত। কিন্তু এটি খুবই বেদনাদায়ক যে লোকজনকে জীবিত অবস্থায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তবে আজ কৃতজ্ঞতা ভরে তাদের আমরা স্মরণ করছি।’’
দেরিতে হলেও তাদের এই সম্মান দিতে পেরে দেশের মানুষ খুবই আনন্দিত বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘‘তাদের কাজ যুগে যুগে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’’

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?