বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে লাভবান হবে বাংলাদেশ

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সবশেষ যেই দেশ সফর করেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই দেশেই সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। কাল ২৬শে মার্চ শুরু হচ্ছে তার চার দিনের চীন সফর। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারত নির্ভরতার অভিযোগ থাকলেও তাদের টানা চার মেয়াদে চীনের সঙ্গে সখ্য বজায় রেখে […]

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে লাভবান হবে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৫ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৯

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সবশেষ যেই দেশ সফর করেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেই দেশেই সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। কাল ২৬শে মার্চ শুরু হচ্ছে তার চার দিনের চীন সফর।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারত নির্ভরতার অভিযোগ থাকলেও তাদের টানা চার মেয়াদে চীনের সঙ্গে সখ্য বজায় রেখে চলতে দেখা গেছে বাংলাদেশকে।

বিশেষ করে বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে চীনের সম্পৃক্ততা ও বিনিয়োগ ছিল উল্লেখযোগ্য।

তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে সেই সম্পর্কের গতিতে ‘একটা ছেদ পড়ে’ উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে “নতুন করে গতি আনা প্রয়োজন” বলে মনে করেন চীনে দায়িত্ব পালন করা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ।

সফরের তৃতীয় দিন ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হওয়াটাই একে বিশেষভাবে তাপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

প্রধান উপদেষ্টার সফরটি ভূ-রাজনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী ভারতের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

আবার যুক্তরাষ্ট্রের বিগত বাইডেন প্রশাসনের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের সৌহার্দ্য দৃশ্যমান হলেও এ ব্যাপারে বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এখনও স্পষ্ট নয়।

একদিকে ভারতের সাথে চীনের আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রশ্নে বৈরিতা রয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের বৈরিতা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে যা ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আরও ঘনীভূত হয়েছে।

সে কারণে চীনে মুহাম্মদ ইউনূসের সফর প্রতিবেশী ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কী প্রভাব রাখবে তা নিয়েও আলোচনা আছে।

তবে সব আলোচনা ছাপিয়ে এই সফর থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অধিকতর বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সাবেক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মেয়াদের সীমাবদ্ধতার’ কারণে বড় চুক্তির মতো কোনো পদক্ষেপ না আসাই স্বাভাবিক।

তবে এই সরকারের সময়ে হওয়া সমঝোতা কিংবা প্রাথমিক উদ্যোগকে পরবর্তী সরকারগুলো এগিয়ে নেওয়ার পথ তৈরি হবে।

বাংলাদেশে গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের গন্তব্য বরাবরই ছিল নয়া দিল্লি।

কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হয় চীনে, গত জানুয়ারিতে।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে চীন। এ বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এর মতে, ৫০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে অধ্যাপক ইউনূসের সফর হবে একটি মাইলফলক।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি জানান, এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

কূটনৈতিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার সফরটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার ঠিক এক মাস আগে ৮ জুলাই বেইজিং সফরে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ জুলাই সফর শেষ করার কথা থাকলেও একদিন আগে দেশে ফেরেন তিনি। সফরে ২১টি সমঝোতা স্বাক্ষর সই হয়।

ওই সফরের আগে ধারণা করা হচ্ছিল তিস্তা প্রকল্প, রোহিঙ্গা সমস্যা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের বিষয়ে চীনের ঋণ পেতে আলোচনা হবে।

কিন্তু সফরের শেষে দুই দেশের দিক থেকে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয় সেখানে তিস্তা মহা-পরিকল্পনা নিয়ে কোনো কথা ছিল না। বাণিজ্য, বিনিয়োগ কিংবা অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের দিক থেকে বড় কোনো প্রতিশ্রুতিও দেখা যায়নি।

চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সে দেশে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “শুরুটা চীন দিয়ে হয়েছে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সাথেই সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে হবে। যেহেতু এটা দিয়ে শুরু হয়েছে এর একটা বাড়তি গুরুত্ব দিতেই হবে।”

“নতুন সরকার আসার পর সরকারের জন্য এটা প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ যে সবার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি,” যোগ করেন মি. আহমদ।

বাংলাদেশে তিস্তা নদীকে ঘিরে চীনের অর্থায়নে একটি মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে নানা কথাবার্তা শোনা গেলেও এ সফরে তেমন বড় কোনো ঘোষণা আসার সম্ভাবনা দেখেন না বিশ্লেষকরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের যে দায়িত্ব তা যদি তারা পূরণ করতে পারে, নির্বাচিত সরকারও এটা ক্যারি অন (এগিয়ে নিতে) করতে পারবে। আর, দেশের বাইরেও এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।”

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৯০

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৯০

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৩০০

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২৯১