শেখ হাসিনা দিল্লিতে মোদির সঙ্গে বসে রাজনীতি করতেছে। আট মাসেও আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার পাইনি। সরকার বিচার না করলে আমরা শহীদ পরিবার শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে টেনে এনে নিজ হাতে বিচার করব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে টেনে আনার লোক নাই? দেশে কি সরকার নাই? বিএনপি-জামায়াত নাই? জনগণ নাই? তারা কেউ হাসিনাকে ফেরত এনে বিচার করছে না। অথচ আওয়ামী লীগের লোকেরা আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারসহ উপস্থিত সবাই ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তারা এ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের রাজু ভাস্কর্যে টানা ৩৬ দিন ধরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদকে অভিনন্দন জানান।
একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্যাসিবাদী হিসেবে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতারা জানান, ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধ, নতুন সংবিধান প্রণয়নে গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনসহ ১১ দফা দাবিতে সর্বাত্মক গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিলাল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক
অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মধ্যে শহীদ মেহেদী হাসানের বাবা মেহের আলী ও মা পারভিন আক্তার, শাহাদাত হোসেন শাওনের বাবা বাছির আলম ও মা শামসুন নাহার, শহীদ শাকিলের বাবা বাবু ও মা হেলেনা বেগম, শহীদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম, স্ত্রী রুনু তালুকদার ও ছেলে মেহরাজ তালুকদার।
আহত জুলাই যোদ্ধা জিহাদ হোসেন, আহত মিলন শিকদারের স্ত্রী ও রিয়াদ মোর্শেদ অপুর মা উপস্থিত ছিলেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?