মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লা অঞ্চলের সংগঠক ও বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী তার স্মৃতিচারণায় উল্লেখ করেছেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের মনে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “২৫ মার্চ রাতেই এদেশের মানুষের মনে পাকিস্তানিদের দাফন হয়ে গেছে। বাকি সময়টা কেবল দখলদার মুক্ত করেছে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মনিরুল হক চৌধুরী, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তার স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের নানা অজানা দিক। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত হামলার পর তিনি কেরানীগঞ্জে গিয়েছিলেন ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশনা নিয়ে। তবে সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাউকেই খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, “আমরা যেখানে যেখানে বললাম যে আমাদেরকে যোগাযোগ করবে কেন্দ্রীয় নেতারা, তাদের কাউকেই পাইনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে তখন জানা ছিল না। তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা কেউ জানতো না। শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘোষণাই মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হিসেবে স্বীকৃত।” তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুনেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমানের বেতার ভাষণে।
মনিরুল হক চৌধুরী ভারতের আগরতলায় ট্রেনিং শেষে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ইন্ডাকশন ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন। তার নির্দেশনায় এই অঞ্চলে দুই শতাধিক অপারেশন পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, “আমি জেলা কমান্ডার এবং কমান্ডারের অধীনেই কাজ করতাম। নিজেই গ্রুপ করতাম, তাদেরকে ইকুইপ করতাম, ব্রিফ করতাম এবং অস্ত্র বণ্টন করে তাদেরকে বিভিন্ন অপারেশনে পাঠাতাম।
তিনি মনে করেন, ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার পর তাদের দাফন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তানি বাহিনীর দাফন হয়ে গেছে। বাকি সময়টা আমরা তাদের অবৈধ দখলদারিত্বকে মোকাবেলা করেছি।
মনিরুল হক চৌধুরী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে অতিরিক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক জায়গায় খাটো করা হয়েছে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা চড়াই-উতরাই ও সংগ্রামের কথা স্মরণ করে বলেন, “আমরা নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ভারতের আগরতলায় পৌঁছেছিলাম। সেখানে ট্রেনিং শেষে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে অপারেশন পরিচালনা করেছি। আমাদের নির্দেশনায় দুই শতাধিক অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?