বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ফেরত চাওয়া হবে

শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, গত জুলাই ও আগস্টের শুরুতে দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩

শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, গত জুলাই ও আগস্টের শুরুতে দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে। ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

পর্যাপ্ত বিচারপতির অভাবে ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দিতে দেরি হয় বলে জানান অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করার ছিল, তা সম্পন্ন করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কাজ শুরু করেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তিনি যতটুকু অবগত হয়েছেন, ইতিমধ্যে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানকালে নির্মম গণহত্যা ঘটেছে, এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে আহত করা হয়েছে। এ অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দু-এক দিনের মধ্যে সক্রিয় হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদার ও সদস্য শফিউল আলম মাহমুদ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ৮ অক্টোবর নিয়োগ পেয়েছিলেন।

আইন সংশোধন হচ্ছে, তবে বিচার আটকে থাকবে না

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন এ মাসেই চূড়ান্ত হতে পারে জানিয়ে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, তবে সংশোধনীর জন্য বিচার আটকে থাকবে না। বিচারের সঙ্গে সংশোধনীর সম্পর্ক নেই। এখন যে অবস্থায় আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে।

সংগঠনের বিচারের বিষয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে আইনে সংশোধনী আনা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।

১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন করা হয়। ১৯৭৩ সালে করা এ আইনে এখন পর্যন্ত কয়েকবার সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সালে এ আইনে প্রথমবার সংশোধনী এনে আইনটি মূলত হালনাগাদ করা হয়।

এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় সংশোধনী এনে আসামির অনুপস্থিতিতে তাকে পলাতক ঘোষণা করে বিচার এবং এক ট্রাইব্যুনাল থেকে আরেক ট্রাইব্যুনালে (প্রথমে ট্রাইব্যুনাল ছিল একটি, পরে দুটি করা হয়) মামলা স্থানান্তরের বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয়। এর ফলে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিলের সমান সুযোগের বিধান যুক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে অন্তত ৫৫টি মামলার রায় এসেছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে শীর্ষ পর্যায়ের ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তাদের পাঁচজন জামায়াতে ইসলামীর এবং একজন বিএনপির তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় নেতা।

শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হলে ফেরত চাওয়া হবে

মূল অভিযুক্তদের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিলেন বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে, যারা প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন ছাত্র-জনতাকে প্রতিরোধ করার, এমনকি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তাদের অনেকেই গ্রেফতার হননি, আত্মগোপনে আছেন, পালিয়ে গেছেন।

যারা গ্রেফতার আছেন, তাদের বিচারে সমস্যার কথা না। আর যারা পালিয়ে গেছেন, পলাতকদের বিচার করার বিধান এই আইনে রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, কেউ যদি সেই দেশে থাকেন, তাহলে চুক্তি অনুযায়ী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। যাদের সঙ্গে চুক্তি নেই, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা অনুযায়ী ফিরিয়ে আনতে যতটুকু চেষ্টা করার তা করব।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সাধারণত যখন কেউ দোষী সাব্যস্ত হন, প্রত্যর্পণের বিষয়টি তখন আসে। ভারতে থাকলে, ভারতের সঙ্গে যেহেতু চুক্তি আছে, চাওয়াটা সহজ হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই চাওয়া হবে।

জাতীয়

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি। মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের […]

নিউজ ডেস্ক

০৬ মে ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে নতুন দল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দলটি।

মো. নাজিমুল হককে আহ্বায়ক করে ২০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির এই নতুন দল জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারের একটি প্রস্তাবও তুলে ধরে। ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বদিউল আলম মজুমদারকে উপরাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী ও ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা প্রস্তাব করেন সভায় উপস্থিত ঐক্য ও সংহতি পরিষদের নেতারা।

এ ছাড়া নতুন মন্ত্রিসভার আনুপাতিক হারও প্রকাশ করেন তারা। তাদের প্রস্তাব অনুসারে, বিএনপি ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ সদস্য নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন নতুন এ দলটি।

জাতীয়

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

গেজেটের মেয়াদ শেষ, শপথ নিতে না পাওয়ায় মেয়র পদ হারালেন ইশরাক

ইশরাক

নিউজ ডেস্ক

২৬ মে ২০২৫, ২২:৩৩

বিএনপি সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জয়ী হলেও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারলেন না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তা বাতিল বলে গণ্য হয়—এই আইনি সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায়।

শেষ দিনের শপথ নিশ্চিত করতে ইশরাকের আইনজীবী ও রিটকারী পক্ষ মরিয়া চেষ্টা চালান। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী শপথগ্রহণের পথ খুঁজতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো মতামত আসেনি। এতে শপথের প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।

এ নিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক কারণে আমাকে শপথ নিতে দেয়নি। এটা আদালত অবমাননার শামিল। আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।”

ইশরাকের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে তারা লিগাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। রিটকারী পক্ষও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা বলেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন এই ইস্যু ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি এবং ইশরাকের সমর্থকরা বলছেন, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘অদৃশ্য এক খেলার’ মাধ্যমে তাকে শপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কিছু নমনীয়তা দেখা গেলেও, আইন মন্ত্রণালয়ের নিরব অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেয়। ফলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই শপথ যুদ্ধের শেষ বিজয়ী আসলে কে?

জাতীয়

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ […]

বাংলাদেশ সীমান্তে আরএসও’র প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ১৮:২৬

বাংলাদেশের ভেতরে, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়ায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া চালিয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)।
সামরিক কায়দায় কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র সদস্যদের এই মিছিল দেশবাসীর মনে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সীমান্তে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি চলমান কর্মকাণ্ডের অংশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তের ভেতর প্রবেশ করে আরএসও গোষ্ঠীর সদস্যরা শুধু মহড়াই চালাচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, আটক ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে দুর্বল, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের টার্গেট করছে।

সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আরএসও এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ)-এর হাতে সীমান্তে অন্তত ১২টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসও এবং ৪টি এআরএ। প্রতিটি চেকপোস্টে ৩-৫ জন করে সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত রয়েছে, যারা নিয়মিত চাঁদা আদায়ে জড়িত।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস জানায়, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, পাচার এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

সংস্থাটি একে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বাংলাদেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সীমান্তে আরএসও’র এই তৎপরতার পাশাপাশি পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ’র মধ্যে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য কেএনএফকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা ও রাখাইনের জন্য কথিত ‘মানবিক করিডোর’ চালুর আলোচনা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি ‘রিফিউজি ইস্যু’ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সীমান্ত রাজনীতি যা বাংলাদেশকে এক অদৃশ্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।