বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী পদে অবাধ ক্ষমতা রেখে জবাবদিহিতা মূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : আলী রীয়াজ

সংস্কার আগে না নির্বাচন, এমন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংসদ ভবনে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতার ভারসাম্য। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী পদে অবাধ […]

প্রধানমন্ত্রী পদে অবাধ ক্ষমতা রেখে জবাবদিহিতা মূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : আলী রীয়াজ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২০ মার্চ ২০২৫, ১৫:৪০

সংস্কার আগে না নির্বাচন, এমন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংসদ ভবনে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতার ভারসাম্য। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী পদে অবাধ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়, তখন রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা থাকা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। তার মতে, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া একটি প্রকৃত জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পদে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা বিরাজমান। সংবিধানের বিভিন্ন সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা প্রায় এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত হয়েছে, যার ফলে সংসদ, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বিরোধী দলের মতামত উপেক্ষিত হয় এবং নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব দেখা দেয়।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংসদীয় ব্যবস্থার অন্যতম কাজ হলো সরকারকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের সংসদ কার্যকর বিরোধী দলের অভাবে একপক্ষীয় সিদ্ধান্তের জায়গায় পরিণত হয়েছে।

একইভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কারণ উচ্চ আদালতেও রাজনৈতিক প্রভাব লক্ষ করা যায়। আলী রীয়াজের মতে, যদি বিচার বিভাগ ও সংসদ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর অবাধ ক্ষমতা রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা থাকার ফলে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ দলীয় স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, যা সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা।

আলী রীয়াজের মতে, প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থাকলে তা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় এবং সাধারণ জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে একক ক্ষমতার পরিবর্তে সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি কার্যকর হয়।

২. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা: রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
৩. সংসদের কার্যকারিতা বাড়ানো: বিরোধী দলকে যথাযথ ভূমিকা পালনের সুযোগ দিতে হবে, যাতে সংসদে প্রকৃত অর্থে বিতর্ক ও নীতিনির্ধারণ সম্ভব হয়।
৪ . গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা: মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম এবং শক্তিশালী নাগরিক সমাজ ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

উপসংহার

এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার ফলে রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা হ্রাস পায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বাড়ে। আলী রীয়াজের মতে, প্রধানমন্ত্রী পদে অবাধ ক্ষমতা রেখে জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন ক্ষমতার ভারসাম্য, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭০৩

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ৩৮০

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৭০৩

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৩১৫