মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার (১৭ মার্চ) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৬ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য […]

পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:১০

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার (১৭ মার্চ) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৬ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের ১২৭ জন শীর্ষ কর্মকর্তা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এতে দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, এই বৈঠকে দেশের সব জেলা পুলিশ সুপার (এসপি), রেঞ্জ ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক), সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সদর দপ্তরের তিনজন ডিআইজি, সব অতিরিক্ত আইজিপি ও আইজিপি উপস্থিত থাকবেন। এটি হবে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ধারণা করা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, বিচারপ্রক্রিয়ায় পুলিশের ভূমিকা, সন্ত্রাস দমন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈঠকে স্থান পাবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এই বৈঠকের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের ভূমিকা আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করার পরিকল্পনা নিতে পারে। ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধ, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বশীলতা বাড়ানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীকে কঠোর বার্তা দেবেন এবং জনবান্ধব ও নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সহিংসতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পুলিশ বাহিনীকে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ, দুর্নীতিমুক্ত ও পেশাদার করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, অতীতে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই প্রধান উপদেষ্টা কী ধরনের নির্দেশনা দেবেন, সেটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ জনগণেরও কৌতূহল রয়েছে। পুলিশের মধ্যে কোনও দুর্নীতি, অপব্যবহার বা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

এ বৈঠকে আরও আলোচনা হতে পারে পুলিশের দায়িত্বশীলতা, দ্রুত বিচার ব্যবস্থা চালু করা, মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ করা এবং জনগণের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক গড়ে তোলা নিয়ে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন নীতিমালায় পুলিশের কার্যক্রম আরও জবাবদিহিমূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা এই বৈঠকে আরও পরিষ্কার হতে পারে। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারেন এবং কীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারেন, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বৈঠকের পরপরই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা ও পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হতে পারে। বিশেষ করে, দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সরকার কী ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে, সেটিও বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট হতে পারে। ৫ আগস্টের পর নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই প্রধান উপদেষ্টা কী বার্তা দেবেন, সেটি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।

এ বৈঠককে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক মহল, আইনশৃঙ্খলা বিশ্লেষক ও সাধারণ জনগণের গভীর দৃষ্টি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কী বার্তা দেবেন, পুলিশ প্রশাসনে কী পরিবর্তন আসবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে বৈঠকের পরই। এটি বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৬৫

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২২৬

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৬৫

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৬৫