ইন্ডিয়ার চিহ্নিত দালাল এনজিওগুলো আবার মাটে নেমেছে। এবার তারা চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে আত্মঘাতী আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন করে সে প্রকল্প বন্ধের দাবি তুলেছে। আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদী তীরে আয়োজিত মানববন্ধনে নদ-নদী ও খাল দখল-দূষণ মুক্ত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বুড়িগঙ্গা নদী সরজমিনে পরিদর্শনে বসিলার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে নদীর দুপাশের বর্তমান দখল ও দূষণের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করা হয়। তথাকথিত এই পরিবেশবাদীদের মূল এজেন্ডা তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঠেকানো।
ভারতের অর্থায়নে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. হালিম দাদ খান বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। গঙ্গা-বহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর পলিমাটি দিয়ে গঠিত একটি ব-দ্বীপ ভূমি। একাদশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার।
নদীগুলো ছিল প্রশস্ত, গভীর ও পানিতে টইটুম্বুর, বর্ষাকালে প্রমত্তা। সারা বছর নাব্যতা থাকে তেমন নদীর সংখ্যা আজ সব মিলিয়ে ২৩০টি। আমরা আর কোনো নদীকে মরতে দিতে পারি না।
নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও বুড়িগঙ্গা নদী সরেজমিনে পরিদর্শন কর্মসূচিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, বাদাবন সংঘ, বারসিক, ক্যাপস, সিডাব্লিএফ, সিডিপি, ক্লিন রিভার বাংলাদেশ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, গ্রীন সেভার্স, হাওর অঞ্চলবাসি, নাগরিক উদ্যোগ, নদী যাত্রিক, নোঙ্গর ট্রাস্ট,
নদীপক্ষ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট), রিভারাইন পিপল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নবাব বাগিচা সামাজিক উন্নয়ন কল্যাণ পরিষদ, পরিবেশ উদ্যোগ ও গ্রীন ভয়েস।
মানবন্ধন থেকে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসে ১১ দাবি ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, তিস্তা নদীকে জীবন্ত ও আইনি সত্তা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষিত রায়ের বিধান মেনে চলায় সকলকে বাধ্য করতে হবে। আত্মঘাতী তিস্তা মহাপরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।
তিস্তাপাড়ের লাখ লাখ মানুষ যখন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করছে। ভারত নানাভাবে দিল্লি অনুসারি আমলাদের মাধ্যমে হাসিনার শাসনামরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ বন্ধ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে যখন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন দিল্লি বিপুল অর্থ খরচ করে বাংলাদেশের কিছু এনজিওকে নদী বাচায়ের নামে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঠেকানোর লক্ষ্যে মাঠে নামিয়েছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?