পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলায় অবস্থিত ছারছীনা দরবার শরীফের ১৩৫তম মাহফিলের শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের আগে সেখানে আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
এ সময় মাহফুজ আলম বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতার জন্য দোয়া করবেন। সরকার যেসব সংস্কারের দায়িত্ব হাতে নিয়েছে তা যেন সব শেষ করে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে পারে। এদেশে আর কোন স্বৈরাচার সৃষ্টি না হতে পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ছারছীনা দরবার শরীফের মাধ্যমে দেশে হাজার হাজার মাদরাসা তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ইসলামে প্রকৃত শিক্ষা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার পরিবার ছারছীনা দরবার শরীফের ভক্ত ছিলেন। ছোটবেলায় একাধিকবার ছারছীনা দরবারে আসার সুযোগ হয়েছে। আজ আমি এখানে এসেছি পীর সাহেবের কাছে দেশের জন্য দোয়া চাইতে। এখানে আসার মাধ্যমে ছারছীনা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ সূফী নেছার উদ্দিন আহমদ (রহ.) এর উপমহাদেশে দ্বীনি সংস্কার সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
মাহফুজ আলম বলেন, ছারছীনা দরবারের সিলসিলা এক শতাব্দীর বেশ সময় ধরে ধর্মীয় অনুশাসনে শিক্ষা দিয়ে এই উপমহাদেশের মানুষের খেদমত করে যাচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের নিকট দোয়া চাই যেন আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এসে আমাদের অর্পিত দায়িত্ব শেষ করতে পারি। বিশেষ করে আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আপনাদের সন্তান হিসেবে এদেশের খেদমত করতে পারি।
এর আগে মাহফুজ আলম ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীরদের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন, বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আখেরী মোনাজাতে ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে তিন দিনব্যাপী মাহফিলের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?