আছিয়ার জানাজায় মাগুরা যাচ্ছি। অতি দ্রুত বোন আছিয়ার খুনিদের বিচার নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ।
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোনকে যেভাবে হারিয়েছি; এটি পুরো দেশের জন্য লজ্জার। যারা এই ঘটনায় দায়ী অবিলম্বে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিকেল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশু আছিয়ার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের বোন আছিয়াকে আমরা হারালাম। এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশের লজ্জার। পুরো বাংলাদেশ, আমাদের বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যখন একজন মায়ের সন্তান হারানোর আহাজারি দেখি, তখন আমরা আমাদের জায়গা থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই।
আমাদের কিছু বলার থাকে না। এমন ঘটনা ইতিপূর্বে অসংখ্য বার হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই বলি আর, বাংলাদেশের যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাদের কথাই বলি; আমাদের বোনকে যেভাবে হারালাম এর জন্য যারা দায়ী তাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা। সেটাকে যেকোনোভাবে ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করা।
’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পাঁচ-দশ বছর আগে আমাদের বোন, আছিয়ার মতো আরো যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তাদের বিচারগুলো যদি নিশ্চিত হতো, তাহলে আমাদের বোন আছিয়াকে এভাবে হারাতে হতো না।
আমাদের বিচারব্যবস্থায় নানা রকম হস্তক্ষেপ দেখেছি, এই বিচারব্যবস্থায় আমরা দীর্ঘসূত্রতা দেখেছি। সামগ্রিকভাবে একটা দেশে বিচারব্যবস্থা যেমন থাকা উচিত, সেটা আমরা দেখিনি।
সেই জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এখন সময় হয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা। এর মধ্যে দিয়ে আগামীর বাংলাদেশের আমার আর কোনো বোনকে যেন হারাতে না হয়।
এটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এবার যদি আমরা এটা করতে না পারি, তাহলে দিনশেষে আমরা ব্যর্থ হয়ে যাব। কিন্তু আমরা আর এভাবে ব্যর্থ হতে চাই না। আমাদের মায়ের যে আহাজারি, বাবার পাগলপ্রায় অবস্থা, সেটা কখনো বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমরা ওই ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড চাই। আর ধর্ষণ নামক এই যে নৃশংস ঘটনা, এগুলো যেন আজকে থেকে বাংলাদেশে চিরতরে শেষ হয়ে যায়, সেই উপযুক্ত ব্যবস্থাগুলো দেখতে চাই।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আছিয়ার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তার হুঁশ আসার পর একই কথা বারবার বলছেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন দেওয়া হয়। একজন উপদেষ্টা বলেছেন, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে হলেও অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এখানে শুধু ধর্ষণকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা নয়।
এর সঙ্গে যে নির্মমতা, পরিকল্পিতভাবে তাকে যে হত্যা করার কার্যক্রম, সেই হত্যার অপরাধ এখানে সংঘটিত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল বোন আছিয়ার দাফন সম্পন্ন হওয়ার আগেই, এই খুনি-ধর্ষকদের বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়া। এটাই আমাদের আবেগ।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?