বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ মার্চ) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ছিলেন। দেশের চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর একান্ত পরিশ্রমে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে।’
১৯৯৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দায়িত্ব পালনকালে তাঁর দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংগঠক হিসেবেও তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের উদ্যোক্তা জগতে সকলের শ্রদ্ধাভাজন, দেশপ্রেমিক শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক জানাই। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় বলেন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে একজন জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীর ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি সফল শিল্প উদ্যোক্তা দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সচেতন হিসেবে সমাজে সমাদৃত ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি শোকাভিভূত, তার মতো গুণী ব্যক্তির শূন্যতা পূর্ণ হবার নয়।
আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি যেন তারা শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন। আল্লাহ মরহুম সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে বেহেশত নসিব করুন।’
এর আগে বুধবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৭টা) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।

বাংলাদেশের পুলিশ, র্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?