বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

ধর্ষককে খোলা স্থানে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া উচিৎ

ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীর জীবনকেই ধ্বংস করে না, বরং পুরো সমাজের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধর্ষণের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করেন, প্রচলিত বিচারব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর নয় এবং ধর্ষকদের জন্য কঠোর শাস্তি না থাকায় তারা বারবার একই অপরাধ করে। এজন্য অনেকে দাবি করছেন, ধর্ষকদের […]

ধর্ষককে খোলা স্থানে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া উচিৎ

ছবি : সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

০৯ মার্চ ২০২৫, ১৯:৩৭

ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীর জীবনকেই ধ্বংস করে না, বরং পুরো সমাজের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধর্ষণের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অনেকেই মনে করেন, প্রচলিত বিচারব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর নয় এবং ধর্ষকদের জন্য কঠোর শাস্তি না থাকায় তারা বারবার একই অপরাধ করে। এজন্য অনেকে দাবি করছেন, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া উচিত, যাতে তারা আর কখনো এমন ঘৃণ্য অপরাধ করতে সাহস না পায়।

কঠোর শাস্তির পক্ষে যুক্তি
১. ভয় ও প্রতিরোধ সৃষ্টি: অনেকের মতে, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে শাস্তি দিলে সমাজে একটি শক্তিশালী বার্তা যাবে যে, এ ধরনের অপরাধের জন্য কোনো ছাড় নেই। এটি অন্য অপরাধীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে এবং তারা অপরাধ করার আগে দুইবার চিন্তা করবে।

বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এড়ানো: প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় ধর্ষণ মামলার বিচার দীর্ঘ সময় নেয় এবং অনেক সময় ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পান না। প্রকাশ্যে দ্রুত শাস্তি কার্যকর করলে বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা বাড়তে পারে।

ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা : ধর্ষণের শিকার নারীরা অনেক সময় সামাজিক লজ্জা, ভয় ও হুমকির কারণে ন্যায়বিচার পান না। প্রকাশ্যে শাস্তি কার্যকর হলে ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।

কঠোর শাস্তির বিপক্ষে যুক্তি
১. আইনের শাসনের পরিপন্থী: প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া যদি আইনসম্মত না হয়, তবে এটি এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। বিচারব্যবস্থা প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না, কিন্তু জনমতের ভিত্তিতে যদি প্রকাশ্যে শাস্তি কার্যকর করা হয়, তাহলে ভুল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি থেকে যায়।

সহিংসতার সংস্কৃতি তৈরি: সমাজে যদি প্রকাশ্যে কঠোর শাস্তির প্রচলন হয়, তবে এটি জনসাধারণের মধ্যে হিংস্রতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভবিষ্যতে অন্য অপরাধের ক্ষেত্রেও মানুষ নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখাতে পারে, যা সামাজিক বিশৃঙ্খলা ডেকে আনতে পারে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সবসময় বলছে, প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড বা কঠোর শাস্তি দেওয়া নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একজন অপরাধীর মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এছাড়া, যদি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি ভুলভাবে অভিযুক্ত হন, তবে তাকে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া হলে পরবর্তীতে সেই ভুল আর সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।

প্রকাশ্যে শাস্তির দাবির পেছনে জনগণের মূল চাহিদা হলো কার্যকর ও দ্রুত বিচার। তাই ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের গতি বাড়ানো, বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা, ভুক্তভোগীদের জন্য নিরাপদ ও সহানুভূতিশীল বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।

সর্বোপরি, কেবল কঠোর শাস্তি দিলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না। অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সংস্কার প্রয়োজন। ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, যার সমাধান শুধুমাত্র কঠোর শাস্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো সমাজকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১