মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

ড. ইউনূসের বড় সাফল্য দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, জনমনে আশার সঞ্চার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত মাসের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। একদিকে অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা মাহে রমজানের শুরু থেকেই কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের পর থেকে দেশের […]

ড. ইউনূসের বড় সাফল্য দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, জনমনে আশার সঞ্চার

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

০৫ মার্চ ২০২৫, ২৩:৫১

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত মাসের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। একদিকে অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা মাহে রমজানের শুরু থেকেই কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের পর থেকে দেশের জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ জেলায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এ অভিযান দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে দৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছে। বাজার তদারকির পাশাপাশি চালানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত, আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনী পরিচালনা করছে ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশন।

তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম দুইটি চ্যালেঞ্জকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন—রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই দুই ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দৃশ্যমান সফলতা এনেছে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট রমজানের বাজারকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। পাশাপাশি, চুরি-ডাকাতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছিল তারা। অন্তর্বর্তী সরকার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেয়, যার পর জেলা প্রশাসকরা দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অভিযান শুরু করেন এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, আড়তদার ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের আইন শক্তিশালী, না কি মজুতদার ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী—এই চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে চাই। রমজানের আগে ব্যবসায়ীদের চার দফা বৈঠকে সতর্ক করেছি। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা হয়েছে। তাই বাণিজ্যিক রাজধানী খাতুনগঞ্জে অভিযান চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছেন, ১৬০ টাকা দরে তারা সয়াবিন তেল বিক্রি করবেন। সিন্ডিকেটের কেউ পার পাবে না, প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে জেলে পাঠানো হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এ পর্যন্ত ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি, রমজানে আরও ৪০০টি পরিচালনার পরিকল্পনা আছে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।”

প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জেলা প্রশাসকরা কঠোরভাবে মাঠ প্রশাসন পরিচালনা করছেন। সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “সরকারকে যদি একটি দল হিসেবে দেখা হয়, তাহলে এটি একটি টিম। আমি প্রধান অতিথি নই, এই টিমের একজন লিডার বা ক্যাপ্টেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারাই নিজ নিজ জেলায় সরকারের প্রতিনিধি।”

একজন জেলা প্রশাসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা জেলার দায়িত্ব পালন করলেও প্রশাসনের মধ্যম স্তরের কর্মকর্তা। কিন্তু বিশ্বের কাছে সমাদৃত একজন নোবেল বিজয়ী ও অর্থনীতির অধ্যাপককে আমাদের দেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পাওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। তার সম্মান রক্ষায় আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রমজান মাসের বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। ডিসি সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আড়তদার ও মজুতদার সিন্ডিকেট ধ্বংস, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্পষ্ট ভাষায় রাষ্ট্র সংস্কার ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জনগণের চাহিদার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।” বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা এবং নীতিনির্ধারকরা সংস্কার, বৈষম্যের অবসান, জাতীয় ঐক্য, দুর্নীতিমুক্ত সমাজব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

জেলা প্রশাসকরা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, অনেক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। তবে প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও শক্ত অবস্থানের ফলে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস। সংস্থাটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, “সরকারের কঠোর পদক্ষেপ ইতিবাচক। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, যা আগামী দিনে বাংলাদেশকে স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নেবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্ব দরবারে আরও উঁচুতে উঠবে।”

ইতোমধ্যে সরকারের নানা উদ্যোগের মধ্যে পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল, জুলাই শহীদদের স্বীকৃতি প্রদান ও জুলাই যোদ্ধাদের মর্যাদা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম পর্বের কার্যক্রম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সামনের দিনে সরকার যদি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও বাজার স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়, তবে জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও টেকসই হবে।

খবর বাসস

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮৩৪

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৮৩৪

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৩৫

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৫৩৫