বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

একটা পলাতক দল সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দেশকে  অস্থিতিশীল করার জন্য

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “একটি পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব দেশত্যাগ করেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার জন্য।” অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসের পথচলা, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কার ও আসন্ন নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়েও […]

একটা পলাতক দল সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দেশকে  অস্থিতিশীল করার জন্য

ছবি: সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

০৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৩

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “একটি পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব দেশত্যাগ করেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার জন্য।”

অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসের পথচলা, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কার ও আসন্ন নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়েও তিনি তার মতামত প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির। দৈনিক সকাল পাঠকদের জন্য সংক্ষেপিত রূপে সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার গঠনের আগে তার কোনো ধারণাই ছিল না যে তিনি এমন একটি দায়িত্ব পাবেন। তিনি বলেন, “আমি তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলাম না, তবে সম্ভাবনা ছিল। আমি বিষয়টি সহজভাবে নিয়েছিলাম। সরকার যখন গঠিত হলো, তখনও আমার কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎ করেই আমি এমন একটি দেশের দায়িত্ব পেলাম, যেখানে সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল এই ধ্বংসাবশেষ থেকে দেশের আসল চেহারা বের করে আনা এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করা। এরপর ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা এবং সংস্কারের দিকে অগ্রসর হওয়া।”

বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকার কিভাবে টিকে থাকল, কেন এত দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা চলতে পারল—এসব প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন, কারণ এতদিন আমরা কোনো কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি।”

আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জনে আমরা সফল হয়েছি। দেশের মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আইনশৃঙ্খলার কিছু খুচরো সমস্যা থাকতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি উন্নতির দিকেই যাচ্ছে।”

আইনশৃঙ্খলার পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অপরাধের সংখ্যা মোটেই বাড়েনি, বরং আগের মতোই রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের পুলিশ বাহিনী একসময় ভয়ে রাস্তায় নামতে চাইত না, কারণ তারা নিজেরাই হামলার শিকার হয়েছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তবে পুরোপুরি ঠিক হতে আরও সময় লাগবে।”

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার অবস্থান একই আছে, কেউ আমাকে অসমর্থন করছে না। রাজনৈতিক বক্তব্যের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে ঐক্যের কোনো ফাটল ধরেনি।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অভিযোগ যে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে—এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এমন অভিযোগ সঠিক নয়।”

ছাত্রদের নতুন দল গঠনের বিষয়ে সরকারের কোনো সহায়তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকার কোনো সহায়তা করেনি। যারা রাজনীতি করতে চেয়েছেন, তারা সরকারের পদ ছেড়ে চলে গেছেন। এটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করছি।” সেনাপ্রধানের বক্তব্য যে সবাই একসঙ্গে কাজ না করলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে—এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একটি পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। মাঝখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা অপপ্রচারের কারণে তৈরি হয়েছে। তবে আমরা এখন তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।”

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক, আমাদের সমান অধিকার রয়েছে। তবে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে।”

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যখন প্রয়োজন হয়, তখন যোগাযোগ হয়।”

নিজের রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, “আমি কখনো রাজনৈতিক দল গঠন করিনি, করার পরিকল্পনা করেছিলাম মাত্র। তবে পরে বুঝেছি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।”

সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি বলেন, “আমি এই পদে আসতে চাইনি, আমাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়েছি, কিন্তু আমি রাজনীতির মানুষ নই।”

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৫৯৯

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৫৯৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৫৯৯

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৫৯৯