রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

সন্ত্রাস দমনে দেশব্যাপী র‌্যাবের রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপন 

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে র‍্যাবের টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক […]

সন্ত্রাস দমনে দেশব্যাপী র‌্যাবের রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপন 

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৫

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে র‍্যাবের টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে রাজধানীতে ৬৯টি টহল, ঢাকার বাইরে ১৪৯টি টহলসহ সারাদেশে মোট ২১৮টি টহল মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে, যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত থেকে সারাদেশে র‍্যাবের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো যে কোনো ধরনের নাশকতা, সহিংসতা প্রতিরোধ করা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। র‍্যাব জানিয়েছে, বিশেষ নজরদারির অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে এবং অপরাধীদের ধরতে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এ কারণে র‍্যাবের সাইবার ইউনিট যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব বা ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই ও সহিংস ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‍্যাবের সদস্যরা দিনরাত টহল দিচ্ছেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে র‍্যাবের এমন অভিযানে সাধারণ মানুষ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এ ধরনের অভিযান দীর্ঘমেয়াদে অপরাধ দমনে সহায়ক হবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানির আশঙ্কাও রয়েছে।

এ বিষয়ে র‍্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা যেকোনো মূল্যে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শুধু অভিযান পরিচালনা করলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, বরং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেটেড অভিযান চালানো দরকার।

এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতের বেলা অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই অভিযানের ফলে সামগ্রিকভাবে অপরাধ দমনে কী পরিমাণ সফলতা আসবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে র‍্যাবের কঠোর অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, অপরাধীদের দমনে প্রশাসন কোনো ছাড় দেবে না।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২২৬

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৩

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২২৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৩