রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

হজযাত্রীদের ‘সার্বক্ষণিক’ সেবার লক্ষে ‘হজ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হজযাত্রীদের জন্য সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করতে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনায়’ হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সভায় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত […]

হজযাত্রীদের ‘সার্বক্ষণিক’ সেবার লক্ষে ‘হজ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০০:০৬

হজযাত্রীদের জন্য সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করতে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনায়’ হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সভায় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনা সহজ, স্বচ্ছ ও নিরাপদ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “হজ পালন সহজ করতে আল্লাহ আমাদের সুযোগ দিয়েছেন; আমাদের উচিত সেই সুযোগকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো। একজন হজযাত্রীও যেন কোনো দুর্ভোগের শিকার না হন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।”

হজ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে হজ এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে একটি বুকলেট আকারে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “সরকারের দায়িত্ব হলো এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা। যদি কোনো এজেন্সি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হজযাত্রীদের যেকোনো জটিলতা থেকে রক্ষা করতে একটি হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার স্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “একটি কল সেন্টার চালু করা হবে, যেখানে যেকোনো অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে মনিটরিং করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, যেখানে হজযাত্রীরা যুক্ত থাকতে পারবেন, অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং কেউ হারিয়ে গেলে দ্রুত অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হবে।”

নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই বিষয়ে একটি বিশেষ গাইডলাইন তৈরি করা উচিত।”

হজ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বহীনতা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যে কোনো এজেন্সি যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। দায়িত্বশীলতা বাড়াতে এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম ও দক্ষতা যাচাই করে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ভাগ করতে হবে।”

হজযাত্রীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে বিশেষ ভিডিও গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। এতে বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে হজযাত্রীরা সহজেই জানতে পারবেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ভিডিওতে দেখাতে হবে, অসুস্থ হয়ে গেলে কী করতে হবে, হারিয়ে গেলে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে, কোরবানি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে হজযাত্রীরা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারবেন।”

আগামী বছর থেকে ‘হজ ক্রেডিট কার্ড’ চালুর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এটি চালু করা হলে হজযাত্রীদের আর্থিক লেনদেন সহজ হবে এবং যাত্রা আরও নির্বিঘ্ন হবে। দেশে ফেরার পর অব্যবহৃত অর্থ নগদ ফেরত দেওয়া হবে।”

হজযাত্রীদের লাগেজ হারানোর ঘটনা প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চেক-ইনের পর প্রতিটি লাগেজের ট্যাগের একটি কপি সংরক্ষণ করা হবে এবং হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে রাখা হবে, যাতে লাগেজ হারিয়ে গেলে দ্রুত শনাক্ত করা যায়।”

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজের নিবন্ধন করেছেন। তবে সরকার এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি চলছে, যা হজযাত্রীদের জন্য আরও স্বচ্ছ, সহজ ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করবে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৪

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৪

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৪

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২২৭