প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন অভিযোগ করেছেন যে, ভোটার তালিকায় থাকা প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, “মৃত ভোটার আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। অন্যদিকে, ৩৬ লাখ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তই হয়নি। এগুলো বাদ পড়লে নির্বাচনে বিশাল প্রভাব ফেলত।”
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর ইটিআই ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক এবং বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, এবং ইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ভোটার তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটারের নাম থাকার বিষয়টি অবিশ্বাস্য এবং অবাক করার মতো। তিনি বলেন, “ওরাই কবর থেকে ভোট দিয়েছে। কবরবাসীও ভোট দিত।”
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন যে, ৩৬ লাখ ভোটার এখনো তালিকাভুক্ত হয়নি, যা নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “যদি সাংবাদিক সংগঠনগুলোর মতো নির্বাচন করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। সাংবাদিকদের সংগঠনের ভোটে কোনো ঝামেলা নেই, কোনো কারচুপি নেই, অভিযোগও নেই। আমরা অবাধ তথ্য প্রবাহ চাই।”
সিইসি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি জানান, স্থানীয় অনেকেই রোহিঙ্গা পরিচয় গ্রহণ করেছে শুধুমাত্র ত্রাণ পাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, “স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছে অনেকে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ের ঘটনাও ঘটছে। স্বামী রোহিঙ্গা, স্ত্রী বাংলাদেশি—এমন অনেক ঘটনা আমাদের কাছে এসেছে। আবার স্ত্রী বাংলাদেশি, স্বামী রোহিঙ্গা।”
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে তিনি জানান। তবে মৃত ভোটার এবং অনিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তা আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?