রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

এপ্রিলে সবাইকে একসাথে খেয়ে দেয়ার একটা পরিকল্পনা চলছে

দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লেখক ও জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ মুহাম্মদ সজল। আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত দুই দিনে তিনটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, কুয়েটের ছাত্রদের ওপর ছাত্রদল-যুবদলের হামলা, শিবিরের সদস্যদের দ্বারা এমসি কলেজের এক ছাত্রের নির্যাতন এবং ছাত্রদলের হাতে তামিরুল মিল্লাতের শিবির নেতা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়েও […]

নিউজ ডেস্ক

২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:৫৯

দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লেখক ও জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ মুহাম্মদ সজল। আজ (২১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত দুই দিনে তিনটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, কুয়েটের ছাত্রদের ওপর ছাত্রদল-যুবদলের হামলা, শিবিরের সদস্যদের দ্বারা এমসি কলেজের এক ছাত্রের নির্যাতন এবং ছাত্রদলের হাতে তামিরুল মিল্লাতের শিবির নেতা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়েও তিনি কথা বলেন।

তিনি দাবি করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটছে এবং এর সঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। তার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসের আয়নাঘরে যাওয়া, এস আলমসহ অর্থনৈতিক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি এবং র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ মেলার মতো ঘটনাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।

সজল আরও বলেন, গত দুই দিনে ৫৫ জন ডিসি ও সচিবকে ওএসডি বা ফোর্সড রিটায়ারমেন্টে পাঠানো হয়েছে, যা প্রশাসনিক কাঠামোয় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। তিনি দাবি করেন, এসব ঘটনার পেছনে বাংলাদেশের “প্রো-ইন্ডিয়ান” শক্তিগুলোর ভূমিকা রয়েছে, যারা সরকারকে সীমিতভাবে ব্যর্থ করে ডিসেম্বরে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে, প্রশাসন ও বাহিনীর ভেতরে থাকা কিছু শক্তিশালী গোষ্ঠী সরকারকে আরও বড় ধরনের ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিতে চায়।

তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশে যারাই অস্ত্রের রাজনীতি করছেন, তারা একটা ব্যাপার জেনে রাখেন, এপ্রিলে সবাইকে একসাথে খেয়ে দেয়ার একটা পরিকল্পনা চলছে।

তার মতে, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোই প্রথম ধ্বংস হবে, এরপর সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সবশেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়বে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর সামরিক বাহিনীর পরিণতি কী হয়েছে, তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত।

তিনি আরও দাবি করেন, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক কৌশলগত দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে, যেখানে বিএনপি চাইছে জামায়াত-শিবির তাদের পেশিশক্তি ব্যবহার করুক, যাতে তাদের বাড়তে থাকা “সফট পাওয়ার” দমিয়ে রাখা যায়। অন্যদিকে, বিএনপিকে ব্যবহার করে গভীর রাষ্ট্রের (ডিপস্টেট) পরিকল্পনা হলো তাদের জনপ্রিয়তা কমিয়ে ভারতীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর অধীনে রাখার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।

সজল তার পোস্টে উল্লেখ করেন, ভারতের সম্ভাব্য চারটি পরিকল্পনা রয়েছে—

১. প্ল্যান এ: শেখ হাসিনাবিহীন আওয়ামী লীগকে প্রথমে বিরোধী দলে পাঠিয়ে পরে পুনরায় ক্ষমতায় আনা।
২. প্ল্যান বি: প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে একটি ভারতপন্থী সামরিক-সিভিল ব্যুরোক্র্যাট সরকার প্রতিষ্ঠা।
৩. প্ল্যান সি: দেশে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিস্থিতি তৈরি করা।
৪. প্ল্যান ডি: বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে জামায়াতকে ভারতপন্থী গোষ্ঠী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তারা নিয়ন্ত্রিত বিরোধী দল হিসেবে টিকে থাকে।

তার মতে, এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশের জনগণ যে নতুন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিল, তা ভেঙে যাবে এবং তারা রাষ্ট্রহীন শরণার্থীতে পরিণত হবে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৪২

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৯৮

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৯৮

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৯৮