মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাত থেকেই মানুষের আনাগোনা শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে জনস্রোতে রূপ নেয়।
রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার পরপরই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টারা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
একে একে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা শহীদ মিনারে ফুল দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপি কমিশনার এবং আনসার, বিজিবি, র্যাব ও এনএসআই-এর মহাপরিচালকগণ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাদের পর বিএসএমএমইউ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রাত ১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ একে একে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
কেউ সংগঠনের পক্ষ থেকে, কেউ পরিবারের সঙ্গে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে, আবার কেউ একাই শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কারও হাতে ছিল ফুলের তোড়া, কেউ আবার হাতে গুটিকয়েক ফুল নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে রেখে স্মরণ করেছেন ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ। পুরো শহীদ মিনার এলাকা জুড়ে ছিল আবেগমাখা পরিবেশ, যেখানে মানুষের মুখে উচ্চারিত হয়েছে একুশের চিরচেনা শপথ—”আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?”

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?