বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে: সামান্তা

মোঃ তানসেন আবেদীন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় নগরীর আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রুপন্তী আজমলের সঞ্চালনায় এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে […]

নিউজ ডেস্ক

২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৫১

মোঃ তানসেন আবেদীন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় নগরীর আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রুপন্তী আজমলের সঞ্চালনায় এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন তার বক্তব্যে বলেন, “শেখ হাসিনা নারী নেতৃত্বের নামে নারীদের পিছিয়ে রাখার অপকৌশল নিয়েছে। সংরক্ষিত আসনের নামে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে বাধা দিয়েছে এবং দলীয় প্রয়োজনে কিছু নারীকে শুধু দেখানোর জন্য সামনে এনেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ শুধু পুরুষদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়নি, নারীদেরও এই দমননীতির শিকার হতে হয়েছে। যেসব পুরুষ আন্দোলনে ছিল, তাদের পরিবারের নারীরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই দমননীতির বিচার আমাদের চাইতে হবে। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করতে হবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “উপদেষ্টা পরিষদে পর্যাপ্ত নারীর উপস্থিতি নেই। কিভাবে নারীদের এই সেক্টরে যুক্ত করতে হবে, সেটি আমাদেরই বের করতে হবে। আমরা শুধু বিচার চাইছি না, বরং সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে পারে না। গণপরিষদ নির্বাচন অবশ্যই আগে হতে হবে এবং সংবিধান পুনরায় লিখতে হবে।”

সামান্তা শারমিন আরও বলেন, “ক্যাম্পাসে নতুন রাজনীতি গড়ে উঠছে। আমরা চাই নারীরা এখানে সক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুক। নতুন রাজনৈতিক দলে নারীদের অবস্থান রাখতে হবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় আনতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগামী। তারা কোটার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলেছে, ‘আমাদের কোটা প্রয়োজন নেই, মেধার ভিত্তিতে বণ্টন নিশ্চিত করুন।’ তারা আওয়ামী লীগের বয়ান ভেঙে হল থেকে বেরিয়ে এসে প্রমাণ করেছে যে, তারা নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নারীরা ভালো-মন্দের বোধ বেশি রাখেন, কারণ তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হয়। নারী ও পুরুষের ভোট সমান ক্ষমতা বহন করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের নতুন রাজনৈতিক দলে জনমত সংগ্রহের সময় নারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা চাই, বিচার ও সংস্কারের দাবি অব্যাহত থাকুক। একজন নারী যখন বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার বিচার চাই’, তখন সেটি অনেক বেশি শক্তিশালী বার্তা বহন করে।”

জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনা বলেন, “আমরা মেয়েরা সকল কিছুর বিচার চাই। আন্দোলনের সময় আমরা সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছি। আমরা চাই এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাতে নারীরা কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়। আমরা নারীদের বিচরণের ক্ষেত্র তৈরি করে দেবো সংস্কার ও দেশ গঠনের মাধ্যমে।”

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য নাহিদা সারোয়ার নিভা বলেন, “একটি রাষ্ট্রের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে কখনো উন্নতি করা সম্ভব নয়। নারীদের বোঝানো হয় যে, তারা কিছু করতে পারবে না, কিন্তু আমরা বলতে চাই, নারীদের নিয়েও পরিবর্তন সম্ভব। আমরা নারীদের রাজনৈতিক সক্ষমতা দেখিয়ে দিতে চাই।”

সমাবেশে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

আন্দোলনে দুই চোখ হারানো শিক্ষার্থী মাহবুবের মা বলেন, “আমার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে দুটি চোখ হারিয়েছে। এখন সে ঘরে বন্দি। আমাদের পুরো পরিবার এখন অন্ধকারে। আমরা দোষীদের বিচার চাই, শেখ হাসিনার বিচার চাই।”

আড়াইহাজারের ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক মুনিয়া ইসলাম বলেন, “দেশ গড়ার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে পুনর্গঠন করা।”

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি সেলের সম্পাদক তাজনুভা জাবীন, শহীদ ও আহত সেলের সম্পাদক ডা. মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় সদস্য নাহিদা সারোয়ার নিভা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আল-আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আহ্বায়ক কমিটির সংগঠক আহমেদুর রহমান তনু, লুবনা রহমান, নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের নারী সদস্যরা।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১১৫৯

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা বিধান বহাল চায় বিএনপি, বিপক্ষে জামায়াত

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

সংবিধানে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারসংক্রান্ত বিধান বহাল রাখতে চায় বিএনপি। দলটির দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের বিচারের স্বার্থে এই বিধান অপরিহার্য। অন্যদিকে এই আইনের অপব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়া হয়। কমিশন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব দিলে জামায়াতে ইসলামী তার পক্ষে মত দেয় তবে বিএনপি এতে সংস্কার চায়।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে জমা দেয়। সেখানে তারা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তি বা দলের বিচার করার বিধান বাতিলের দাবি জানায়। দলটির ভাষ্যমতে, গত বছরগুলোতে এই আইনের অপব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যে বিধান যুক্ত হয়েছিল, তাতে অসামরিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার করার সুযোগ তৈরি হয়। বিএনপি চায়, এই বিধান বহাল থাকুক, যাতে জুলাই আন্দোলনের বিচার নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে জামায়াত এই বিধান বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬০১